All publications of Fazle Rezowan Karim . Dhaka , Bangladesh
The flowers of the rose grow in many different colors, from the well-known red rose or yellow roses and sometimes white or purple roses. All roses were originally wild and they come from several parts of the world, North America, Europe, northwest Africa and many parts of Asia and Oceania. There are over 100 different species of roses.
The plants grow and bloom during the cool season when most other plants are dormant or other annuals are in seed form waiting for warmer weather to germinate. Winter annuals die after flowering and setting seed. The seeds germinate in the autumn or winter when the soil temperature is cool. Winter annuals germinate in autumn or winter, live through the winter, then bloom in winter or spring.
মঠ এমন একটি অবকাঠামো, যেখানে কোন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা ধর্মীয় কারণে অবস্থান করেন এবং সেখান থেকে ওই ধর্মের বিভিন্ন উপদেশ প্রদান ও শিক্ষাদান করা হয়।
খরোষ্ঠী-ব্রাহ্মী শিলালিপিতে বাংলায় সর্বপ্রথম মঠ উল্লেখ দেখা যায়। এটি মূলত খ্রিস্টীয় দুই শতক। খ্রিস্টীয় ছয় শতক থেকে এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেশীরভাগ মঠই পোড়া মাটির অলঙ্করণে আবৃত। দেয়ালে খোদাই করা লতা-পাতা, ফুল ইত্যাদি। এতে প্রবেশের জন্য থাকে দুইটি দরজা।
এই পুরাকীর্তগুলো এখন অনেকটাই অবহেলিত। মঠের উপরিভাগে বেড়ে ওঠা পরগাছা নষ্ট করছে বাইরের দেয়াল। মধ্যযুগে মঠের সঙ্গে আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলিও জড়িত ছিলো। মঠগুলির ব্যয় নির্বাহ হতো প্রধানত কৃষি উৎপাদন থেকে।
সাত শতকের সিলেটের বৈষ্ণব মঠগুলিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণ ও অন্যান্য পেশাদার শেণীর লোকদের বসতি প্রতিষ্ঠা করে জনপূর্ণ করা হয় এবং অকর্ষিত ভূমি (অকর্ষ) চাষের অধীনে আনা হয়। পরবর্তীতে মঠ গুলি কৃষকদের সুদের বিনিময়ে ঋণ দিত । কৃষকরা এই ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে মঠ গুলি তাদের জমি বাজেয়াপ্ত করতো । এজন্য মধ্যযুগের জনগণ একই দেব-দেবীর উপাসনা এবং একত্রে বসবাস করলেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে তারা দেশান্তরীয় মঠ এবং বঙ্গালদেশীয় মঠ এই উপ-দলীয় পার্থক্য বজায় রাখত। আবার, রাজ দরবারও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির পৃষ্ঠপোষকতার বিনিময়ে তাদের পার্থিব ক্ষমতা স্থিতিশীল করে তুলেছিল।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি কিশোরগঞ্জের কাটিয়াদী উপজেলার মসুয়া গ্রামে। এক সময়ের জৌলুসপূর্ণ বাড়িটির কালের বিবর্তনে আজ জরাজীর্ণ। এক সময় সিংহ দরজা থাকলেও এখন আর নেই।
বাড়িটির পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে রায় চৌধুরী জমিদার পরিবারের ইতিহাস। এ বাড়িতে ১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের দাদা প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী। তার বড়ছেলে সুকুমার রায় কলকাতা থেকে ১৯২৪ সালে গ্রামের জমিদারি দেখতে মসূয়া এসে কালাজ্বরে আক্রান্ত হন। আড়াই বছর ভুগার পর মারা যান। স্থানীয়রা জানায়, সুকুমার রায়ের সন্তান অস্কার বিজয়ী সত্যজিত রায় তার বাপ-দাদার ভিটেয় আসেননি কখনো। তাই এলাকাবাসী বাড়িটিকে সুকুমার রায়ের বাড়ি বলেই চেনে।
মসূয়া গ্রামের ভাঙ্গা-চোরা সত্যজিৎ রায়ের এই পৈতৃক বাড়িটি ক্রমেই ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। বাহ্যিক অবকাঠামো খুবই নাজুক। খসে পড়ছে পুরোনো ইট-পাথর-চুনের গড়া প্রাসাদটির বিভিন্ন অংশ।
কোনো কোনো অংশ তৈরি হয়েছে মরণ ফাঁদে। প্রাসাদটির দ্বিতল ভবনের ছাদ ভেঙ্গে বিশালাকার এক গর্ত তৈরি হয়েছে। ঝুলে রয়েছে ছাদের উপরে বড় বড় লোহার বিম। প্রাসাদের চারিপাশে লতাপাতা আর বটবৃক্ষের আবর্তনে ঢাকা পড়েছে এর বাহ্যিক সৌন্দর্য্য।
বর্তমানে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটাটি সরকারি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে রয়েছে। প্রখ্যাত তিন ব্যক্তিত্ব সত্যজিত রায়, সুকুমার রায় ও উপেন্দ্র কিশোর রায়ের বাড়িটিকে পূর্ণাঙ্গ একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি কাটিয়াদীর বাসিন্দাদের।
শহরের কোলাহলময় জীবনের চাপে হাঁপিয়ে উঠলে অনেকেই গাড়ি চালিয়ে রাজধানীর বাইরে চলে যান। একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য। সারা সপ্তাহের ব্যস্ততার পর ছুটির দিনটিতে ঘরে বসে থাকতে ইচ্ছেই করে না। একদিনের ছুটিতে ঢাকার পা ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে আদর্শ স্থান ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক।
এটি এমন অসাধারণ এক ফ্লাইওভার তৈরী হচ্ছে যেখান দিয়ে সচরাচর যাতায়াত না থাকলে নতুন আগন্তুকদের অনেক সময় দিকভ্রম হতে দেখা যায়। অত্যন্ত সুন্দর লেভেলিং এর কারণে ঢাকা-মাওয়া-ভাংগা রাস্তায় গাড়ী চললে গাড়ীর সর্বোচ্চ গতিও হার মানে রাস্তার মশৃনতার কাছে। এই রাস্তাটি যাতায়াতের প্রয়োজন ছাড়াও অনেকেই লং ড্রাইভের মজা পেতে ছুটে চলে।
এই মহাসড়কটি দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়ে এবং এশিয়ান হাইওয়ের করিডোর-১ এর অংশ। আধুনিক 'ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা' সমৃদ্ধ ছয় লেনের এই মহাসড়কটিতে রয়েছে দুটি সার্ভিস লেন, পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, দুটি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু ও ৫৪টি কালভার্ট।
এর দু’পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য সাড়ে ৫ মিটার প্রশস্ত পৃথক সার্ভিস লেন এবং মহাসড়কের মাঝ বরাবর রয়েছে ৫ মিটার প্রস্থের মিডিয়ান। ভবিষ্যতে এ মিডিয়ান ব্যবহার করে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
লোকাল যানবাহন নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া এ মহাসড়কে উঠতে পারে না। তবে তিন চাকার যানবাহন এই এক্সেপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে না। আবার যানবাহন ইচ্ছে মতো যে কোন জায়গা দিয়ে এই এক্সপ্রেসেওয়েতে উঠা-নামা করতে পারবে না। এখানে উঠা-নামার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট রাখা হয়েছে।
সব মিলিয়ে লং ড্রাইভের জন্য আদর্শ স্থান ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে।
পদ্মার বুকে দাঁড়িয়েছে স্বপ্নের সেতু। এ পথে চলাচলে কমে যাবে মানুষের দুর্ভোগ। ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ হয়ে যাবে একেবারে সহজ। পদ্মা পার হতে মাওয়া ঘাটে আর ফেরিতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না গাড়ির যাত্রীদের। হয়তো চোখে পড়বে না কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের চিত্র। নদী পার হতে পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে চালক আর ব্যাপারীদের অপেক্ষা করতে হবে না কয়েক দিন।
এসব কষ্ট মুছে যাবে স্বপ্নের সেতু চালু হলেই। আর মাওয়া ফেরী ঘাট থাকবে স্মৃতিতে। ঢাকা থেকে খুলনা, বরিশাল যেতে এখন যে সময় লাগে, পদ্মা সেতু চালু হলে মোটামুটি দুই ঘণ্টা কম লাগবে। আগে যেখানে মাওয়া-জাজিরা ফেরীতে পার হতেই শুধু সময় লাগত দেড় ঘন্টা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু চালু হলে পার হতে লাগবে ৫ মিনিট। ঢাকা থেকে বরিশাল এবং ঢাকা থেকে খুলনা যেতে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতাযাতের ভোগান্তি কমবে। এছাড়া, ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। যেখানে প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই চলবে গাড়ী।
আধুনিক 'ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা' সমৃদ্ধ ছয় লেনের এই মহাসড়কটিতে রয়েছে দুটি সার্ভিস লেন, পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, দুটি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু ও ৫৪টি কালভার্ট। এর দু’পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য সাড়ে ৫ মিটার প্রশস্ত পৃথক সার্ভিস লেন এবং মহাসড়কের মাঝ বরাবর রয়েছে ৫ মিটার প্রস্থের মিডিয়ান। ভবিষ্যতে এ মিডিয়ান ব্যবহার করে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। লোকাল যানবাহন নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া এ মহাসড়কে উঠতে পারে না।
এডিবি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে যদি পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়, ওই বছর সেতু দিয়ে চলাচল করবে ২৩ হাজার ৯৫৪টি যানবাহন। যার মধ্যে বাস চলবে ৮ হাজার ২৩৮, ট্রাক ১০ হাজার ২৪৪টি, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে ৫ হাজার ৪৭২টি।