All publications of Marzina Akter reba, BD-45 . Dhaka , Bangladesh

Blood Flow mechanisms(Fluid dynamics) through Brain

Marzina Akter Reba

Lecturer

Asian University of Bangladesh

According to fluid dynamics blood is modeled as a Newtonian fluid, neglecting its shear-thinning behavior, when calculating the blood flow in cerebral arteries and intracranial aneurysms. Treatment with flow diverting devices leads to much slower and more constant flows inside the aneurysm sack.

Intracranial (also cerebral) aneurysms are pathological extensions of, in most cases, arterial blood vessels within the head or brain. Most sidewall and bifurcation aneurysms are balloon-like outward bulges in the vessel wall. Due to the permanent pulsating pressure these lesions grow in size resulting in constant thinning of the vessel wall. With increasing size and many other partly unknown factors there is a significant risk of rupture followed by a bleeding (hemorrhagic stroke) . Beside the surgical treatment of cerebral aneurysms, clipping, there are two endovascular methods of treatment:

1. coiling and

2. using flow diverting devices .

Both endovascular treatment methods aim to slow down the blood flow inside the aneurysm sack to start clotting and finally lead to cicatrization of the pathological structures. Thereby the morbid vessel wall can be protected and the risk of rupture and following hemorrhage can be minimized. When calculating the blood flow in cerebral arteries and intracranial aneurysms usually the blood is modeled as a Newtonian fluid. This simplification is based on the assumption, that the shear-thinning behavior of blood can be neglected due to the very high velocities and shear rates . The flow past such endovascular devices is much slower and more constant leading to much lesser shear rates.

Testing of banking services in Bangladesh- A study on Prime Bank Limited Rangpur Branch

Md. Tareque Quddus

Assistant Professor of Marketing

Asian University of Bangladesh

The present world is changing rapidly to face the challenge of the competitive free market economy. At the present competitive age, proper marketing of services is a necessity for consumer satisfaction, and consumer satisfaction is a necessity to survive in the market at the long run. So the importance of service marketing is much greater. The banking sector faces a stiff competition in providing services. So they always try to provide better client service. As they try to provide better client service, testing of their services time to time is much needed. This analytical study tried to focus on that for all the banking organizations.

Before electing a bank, each customer expects certain types of service from the bank. If there I a gap or discrepancies between the customer perception and management perception of a bank, then it influences the customer. These gaps may be created from the following issues such as word-of-mouth communication, personal needs, expected service, past experience, bank service, actual service delivery, management perception of customer, external communication, service value, image value, monetary cost, time cost, energy cost etc. Prime bank Limited started its operation as a commercial bank on April 17, 1995. At present it has 136 branches spread all over the country. Prime bank Limited, Rangpur Branch started its journey on December 2, 2007. Right now it is the only branch in Rangpur, Bangladesh. It provides products such as deposit accounts and schemes, loans, utility services and others. The bank is committed to provide high quality services to contribute to the growth of GDP, industrialization, boosting up export, creating employment opportunity for the educated youth, rising standard of living of limited income group and overall sustainable socio-economic development of the country.

Prospects and Problems of Global Marketing of Bangladeshi Shrimp

Md. Tareque Quddus

Assistant Professor of Marketing

Asian University of Bangladesh

For Bangladesh, shrimp is the second largest foreign exchange earner after ready-made garments. In the 2006-07 fiscal year (July 2006 to June 2007), Bangladesh earned nearly US$ 500 million by exporting shrimp to some 40 countries. Shrimp constitutes some 8.0% of the country’s total exports (Uddin 2008). For the following fiscal year of 2007-8, the government fixed a target of earning US$ 600 million from this sector. The shrimp sector employs nearly one million people. It has the potential for further development, enough to culture shrimps to earn US $ 1.5 Billion (BFFEA, 2007).

Bangladesh accounts nearly for 3% of the global shrimp production and is already among the top 10 exporters of shrimp in the world. Major importers of Bangladeshi shrimp are the EU (45%), USA (35%) and Japan (4%). Because of the emerging sets of food safety and agricultural health standards, along with buyer’s changing requirements (Ito, 2005), the export of shrimp to developed country markets is becoming increasingly difficult for Bangladesh. Buyers have been demanding, on the international level, that the shrimp is manufactured with compliance to recognized codes of conduct regarding food safety, human rights, fair labor practices and environmental protection. The Bangladeshi shrimp is appreciated worldwide for both taste and meeting health standards.

For a developing country like Bangladesh, it is difficult to implement the management system intended to satisfy the safety standards and requirements of developed country consumers as there is scarcity of appropriately organized and systematic production processes. The Government needs to take the lead role in introducing improved manufacturing and marketing practices, but the success of any program will depend on the dedication of the trading community (UNB, 2004).

Bangladesh can be able to attract more investment, create additional jobs and export income in the shrimp industry if the quality of manufacturing and proper marketing problem is successfully addressed and resolved.

নীরব-নিভৃতে শিক্ষা বিস্তারে ২৫ বছর

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ

মার্জিনা আক্তার রেবা

প্রভাষক(ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ)

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ

১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি কম খরচে মান সম্পন্ন লেখাপড়া সকলের জন্য এই ব্রত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিতহয় । ১৯৯৬ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ সূচনা হয়। প্রায় ২৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার বিস্তারসহ বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। বাঙালির জাতিস্বত্ত্বা বিকাশ, নৈতিক চেতনাকে লালন ও ধারণ করে এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ তাঁদের মেধা, মনন, দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বায়নের দ্বারা বাংলাদেশে অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রেখে চলেছে অনন্য অবদান।গুনগতমান সমুন্নত রেখে দেশের চাহিদা ও বিশ্বের জনশক্তি বাজারের কথা চিন্তা করে নতুন পাঠ্যক্রম সংযোজন করা হচ্ছে।এশিয়ান ইউনিভার্সিটিকে স্বপ্ন পুরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলার পেছনে একটা বড় কারন রয়েছে সেটি হচ্ছে আমার মত অনেকেই চাকুরীর পাশাপাশি পড়াশুনা করেন যাতে করে কর্মস্থলে উচ্চ শিক্ষার যথার্থ প্রয়োগ ঘটাতে পারেন । কর্মস্থলে হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে পড়াশুনা করা ও সফলতা পাওয়া একটা স্বপ্নের মত। এই সপ্নটাকে বাস্তবে রুপদান করেছেন আমাদের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ|প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই প্রতিষ্ঠানটির স্বপ্নদ্রস্টা এমিরেটাস প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মাদ সাদেক স্যারের নেতৃত্বে ও সকল শুভানুধ্যায়ীর আন্তরিক সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পৌঁছেছে।উচ্চশিক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের সাথে নৈতিকতার সমন্বয় এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদযাপিত হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গৌরব ও ঐতহ্যের ২৫ বছরে পদার্পণ করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।একটি উন্নয়নশীল দেশের প্রেক্ষাপটে কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রজতজয়ন্তী যে দেশের জন্য জন্য গর্বের,মর্যাদার এবং আত্মসম্মানের।অনেকেই জন্মদিন পালন করতে গিয়ে আগত বছরকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ উৎসব করলেও বিগত বছরটি কিন্তু এক বছর আয়ু কমিয়েই যায়। তবে মানুষের জন্মদিনে এক বছর আয়ু বিয়োগের কারণে কিছুটা কষ্ট থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বেলায় নতুন বছরে পদার্পণে বিয়োগ বেদনা হয় না বরং বছরযোগে আয়ু বৃদ্ধি ঘটে, অভিজ্ঞতা বাড়ে। সময়ের সাথে অভিজ্ঞতার সঞ্চালন ঘটিয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি আরো গুনগত মানসম্মত শিক্ষা দিয়ে জাতিকে সুনাগরিকে পরিপূর্ণ করে নতুন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক - এটাই প্রত্যাশা| আশুলিয়ার টংগা বাড়ি, বঙ্গবন্ধু রোডে প্রতিষ্ঠিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর সুবিশাল ক্যাম্পাস অগণিত ছাত্র-ছাত্রীর কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠুকআগামী দিনগুলোতে|

। এশিয়ান ইউনিভার্সিটির পথচলা আরও সুন্দর হোক, শুভ হোক|

Causes and Forms of Domestic Violence in our society

Marzina Akter Reba

Lecturer

Asian University of Bangladesh

women's roles in families has increased a lot in so many sectors as the family diversifies in today’s modern world. These roles include provider, relationship manager, schedule keeper, housekeeper, and caregiver. Education has made women independent and they are no longer dependent on men to lead their lives. Business laws have changed to allow more women in the workplace and giving them a comfortable environment to work in and decision-making authority. Though women do so many things for the family and society selflessly their contribution is ignored, overlooked and remains unrecognized. All the time they do the most important but thanks less job for the family and to the society. The works they do for the family and the society are considered as their duty. Besides all of their good and selfless deed if any problem occurs in family or society blame goes upon the women. Financial problem, blame goes on women as they fail to bring too much dowry from parents after their marriage, they don’t earn money by doing a job or they cannot earn enough money from their job. If a couple cannot produce a child. For not being able to produce a child problem can exist in men or women but blame goes only on women. The whole society begins to blame women and treat them as “sterile women’’. Children are weak is study, blame goes upon mom. She is not educated enough to guide her kids. Children or older members of a family becomes sick, here blame goes upon women. Usual concept is that She was not taking proper care of them. Sometimes kids are spoiled and addicted, blame goes on mom, they failed to teach the kids norm, Values etiquette. Like these so many blames go upon women.

Moreover, In the culture of men dominating society, men always prefer to be superior by showing the women inferior. To show them inferior men abuses women in many ways. it is mostly perpetrated by family members who abuse, attack, humiliate, and torture women and children. There are numerous reports and unreported domestic violence cases in Bangladesh, including physical, verbal, financial, psychological, and sexual abuse. The consequences of COVID-19 Stress, loss of income and isolation all can exacerbate the risk of violence at home.



আধুনিক বাজারজাতকরনের অপরিহার্য বিষয়

মো: সেলিম মিয়া

সহকারী অধ্যাপক , ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

বাজারজাতকরণ বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনশীল । পরিবর্তিত সময় এর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য একজন সফল মার্কেটিয়ারকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাজারজাতকরণ ট্রেন্ড সম্পর্কে জানতে হবে । প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার পদ্ধতি এবং আমাদের পণ্যগুলি প্রচার এবং বিক্রয় করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে । গত দশ বছরে , সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার , অনলাইন শপিং এবং প্লাটফর্মস যেমনঃ ইউটিউব , নেটফ্লিক্স , ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন উপায়ে গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছে । প্রতিদিন অনলাইনে যাওয়া লোকের সংখ্যা এখনও বাড়ছে । তাই একজন মার্কেটিয়ার হিসেবে আপনার ডিজিটাল ট্রেন্ডগুলি জানা দরকার ।

পাঁচটি অপরিহার্য মার্কেটিং ট্রেন্ড রয়েছে যেগুলি সময়ের সাথে এগিয়ে চলার জন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলিকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে১) সোশ্যাল মিডিয়াতে কেনাকাটা

ফোর্বস এর তথ্যানুযায়ী ৭২ শতাংশ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী অ্যাপটি ব্যবহার করার সময় কিছু কিনেছে এবং পিন্টারেস্টের ৭০ শতাংশ ব্যবহারকারী নতুন এবং আকর্ষণীয় পণ্য খুঁজতে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন । কোম্পানিগুলির এখন এমনভাবে পোস্ট তৈরি করা উচিত যা ব্যবহারকারীদের কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইটের পরিবর্তে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় কেনাকাটার সুযোগ করে দেয় । এটির মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতারা খুব দ্রুত এবং সহজেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারে ।

২) গ্রাহকের অভিজ্ঞতার উপর ফোকাস করুন

যখন কোনো গ্রাহক আপনার প্রতিষ্ঠানে আসেন , আপনি তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সন্ধান করতে এবং আপনার পণ্যগুলি কেনার জন্য এটিকে যথাসম্ভব সহজ করতে চান । প্রাইস ওয়াটারহাউসকুপার্স জানিয়েছে যে , ৭৩ শতাংশ লোক বলেছেন যে , ক্রয় সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় গ্রাহকের অভিজ্ঞতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । এবং যখন তারা গ্রাহক অভিজ্ঞতার কথা বলে , তখন তারা দক্ষতা , বন্ধুত্বপূর্ণ ও জ্ঞানসম্পন্ন গ্রাহক পরিষেবা এবং সহজ পেমেন্ট অপশন কে সর্বাধিক মূল্য দেয় । যে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান একটি ভালো গ্রাহক অভিজ্ঞতা সরবরাহ করতে পারে তারা তাদের বর্তমান গ্রাহকদের ধরে রাখতে পারে এবং নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারে ।

৩) ব্যক্তিগতকরণ

আমাদের চারপাশে প্রতিদিন প্রচুর বিপণ্ন বার্তা দেখা যায় । যেগুলি গ্রাহকের আগ্রহের পণ্যের সাথে সম্পর্কিত নয় , তারা সহজেই উপেক্ষা করে । তাই সঠিক গ্রাহকদেরকে লক্ষ্য বানানো এবং তাদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য কোম্পানিগুলি তাদের মার্কেটিং কনটেন্টগুলিকে ব্যক্তিগতকরণ করছে । লোকেরা তাদের ইন্টারনেট অনুসন্ধান , অনলাইন শপিংয়ের অভ্যাস এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের

মাধ্যমে যে ডেটা তৈরি করে তা এটিকে সম্ভব করেছে । অনলাইন পণ্য সুপারিশ , বিজ্ঞাপন এবং এমনকি বিপণন বার্তার নকশা নিজেই পৃথক গ্রাহকদের আগ্রহ এবং পছন্দগুলির সাথে খাপ খায় ।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যদিও ৮৬ শতাংশ লোক গোপনীয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল , ৯০ শতাংশ লোক তাদের আচরণ সম্পর্কে ডেটা শেয়ার করতে খুশি হয়েছিল যদি এর অর্থ একটি সহজ এবং সস্তা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা হয় । একই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে , ৭২ শতাংশ ভোক্তা বলেছেন যে , তাঁরা কেবল ঐ সমস্ত বিপণন বার্তাগুলিতেই সম্পৃক্ত হতেন যা তাদের আগ্রহ অনুসারে ব্যক্তিগতকৃত । ৪) ভিডিও সামগ্রী

ফোর্বসের মতে , ৯১ শতাংশ ভোক্তা বলেছেন যে , তাঁরা কোনও পণ্য সম্পর্কে গতানুগতিক তথ্য জানার চেয়ে ইন্টারেক্টিভ এবং ভিজ্যুয়াল সামগ্রী দেখতে পছন্দ করেন । এবং ভোক্তারা এটি সম্পর্কে কোন ভিডিও দেখার পরে আপনার পণ্য কেনার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ বেশি ।

যদি কোনও বিজ্ঞাপন আকর্ষণীয় , বিনোদনমূলক এবং স্বতন্ত্র হয় তবে লোকেরা অনলাইনে এটি অনুসন্ধান করবে এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবে । ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ ভিডিও বহুসংখ্যক শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে এবং মন্তব্যগুলিতে লোকদের প্রতিষ্ঠানের সাথে কথোপকথন করার জন্য পরিচিত , যেখানে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং পণ্য সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন ।

৫ ) এসইও

এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন - কৌশলসমূহ যা প্রতিষ্ঠানসমূহ গুগল , বিং , ইয়াহু এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলির ফলাফলের তালিকায় নিজেকে উন্নত করতে ব্যবহার করে । ইন্টারনেট যেমন বিপণন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে , এমনিভাবে যখন কোন সামঞ্জস্যপূর্ণ অনুসন্ধান করা হয় তখন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুসন্ধানের ফলাফলগুলিতে উপস্থিত হওয়া জরুরী । উদাহরণস্বরূপ , আপনি যদি কফি মেশিন বিক্রয় করেন তবে আপনি চান যে , কেউ যখন সেরা কফি মেশিন বা এমনকি কফি তৈরির উপায় অনুসন্ধান করে তখন আপনার ওয়েবসাইটটি উপস্থিত হয় ।কোনও সন্দেহ নাই যে , ডিজিটাল বিপণনের প্রবণতা এবং স্বতন্ত্র গ্রাহকদের উপর বর্ধিত ফোকাস অব্যাহত রাখতে হবে । বড় বাজার শেয়ার অর্জনের প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বিপণন কৌশলগুলিকে নিয়মিত আপডেট করা উচিত |

কর্মক্ষেত্রে বিষাক্ত পরিবেশ এবং এর কারণ সমূহ

মার্জিনা আক্তার রেবা

প্রভাষক

ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

যে কর্ম পরিবেশ আমাদের ভালো লাগে না, যেখানে আমরা সবসময় মানসিক চাপের মধ্যে থাকি ,একাকীত্ব ভুগি শুধুই মনে হয় কখন কাজ শেষ হবে আর কখন আমরা বাড়িতে যাব|এই রকম মানসিক চাপ বেষ্টিত এবং অসহযোগী মনোভাব সম্পন্ন পরিবেশে কাজ করা খুব একটা সহজ কাজ নয়| কর্মপরিবেশ যদি এমন হয় যেখানে চাপে পড়ে রুটি রুজির জন্য কাজ করতে হয় কর্ম পরিবেশের জন্য কোন প্রকার ভালোবাসা থাকেনা, মমতা থাকে না তখন আমাদের বুঝতে হবে আমরা যেখানে আছি সেখানকার কার্য পরিবেশ বা কাজ করার পরিবেশ বিষাক্ত |মূলত 6 টি কারণে কর্মপরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠে| কারণগুলো হলো

1. উচ্চ টার্নওভার: উচ্চ টার্নওভার বলতে আমরা বুঝি খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতাকে| মূলত দুর্বল নিয়োগ বিধি এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে উত্থান ঘটে থাকে, আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে কর্মক্ষেত্রে অত্যধিক চাপ, কর্মক্ষেত্রের সূচক নির্ধারণ, দুর্বল নেতৃত্ব সহকর্মীদের অসহযোগী মনোভাব, কাজের বিষয়বস্তু ,কাজের অসন্তুষ্টি এবং দুর্বল ও অপর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি নানাবিধ কারণে প্রতিষ্ঠান থেকে খুব দ্রুত কর্মীরা সরে যায়| এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য খুব দ্রুত তাদের শূন্যস্থানে কর্মী নিয়োগ দিতে হয়|উচ্চ টার্ন ওভার হতে পারে নেতৃত্বের অবস্থান থেকে ,হতে পারে নির্দিষ্ট একটা বিভাগের কর্মীদের মধ্য থেকে অথবা আমাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে যে অবস্থানে আমরা কাজ করে থাকি সেখান থেকে|

2. কর্ম ক্ষেত্রে নেতিবাচক চক্র :যে কোন প্রতিষ্ঠানে সেটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান হোক অথবা অলাভ জনক প্রতিষ্ঠান সব সময় একটা নেতিবাচক চক্র কাজ করে| তারা সবসময় অন্যের দোষ ,ভুল-ভ্রান্তি ধরতে সদা ব্যস্ত থাকে |তারা অন্যের সততা, কাজের প্রতি আন্তরিকতা, কঠিন শ্রম এগুলোর মত ইতিবাচক দিকগুলো কখনো খেয়াল করেনা বা খেয়াল করলেও প্রকাশ করতে চায় না |তারা সব সময় কর্মীদের নেতিবাচক দিকগুলো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপক ক্ষেত্রবিশেষে মালিকের নিকট ছড়ায়| এতে করে সৎ আন্তরিক অদক্ষ মানুষের জন্য কর্মপরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠে|

3. সবসময় কাজের ফলাফল এর দিকে দৃষ্টিপাত:একটা কাজ প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী যে আন্তরিকতার সাথে ,সততার সাথে কাজ করুক না কেন এই বিষয়টি বেশিরভাগ সময় ব্যবস্থাপক বা মালিকের দৃষ্টিগোচর হয় না যদি আশানুরূপ পণ্য বিক্রি না হয় অথবা লাভ না হয় |বিশেষ করে যারা বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের কাজ করেন তারা যে কত আন্তরিকতার সাথে ,কত বিনয়ের সাথে এবং সদ্ব্যবহার এর মাধ্যমে ক্রেতা এবং ভোক্তা যারা আছেন তাদেরকে পণ্য সম্বন্ধে বুঝিয়ে বলেন ,কিন্তু কাঙ্খিত মুনাফা অর্জন না করতে পারলে তাদের আন্তরিকতার কোন দাম থাকে না|মালিক বা ব্যবস্থাপক যারা আছেন তারা কর্মীদের আন্তরিকতা ,চেষ্টা এগুলোকে মূল্যায়ন করেন না|এক্ষেত্রে মালিকপক্ষ বা ব্যবস্থাপক যারা থাকেন তারা বিক্রয়কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকেন এবং চাকরি হারানোর ভয় দেখান|

4. ব্যবস্থাপকের পছন্দসই কর্মী বা কর্মী বাহিনী: প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের কিছু পছন্দসই কর্মী বা কর্মীবাহিনী থাকেন| যাদের প্রতি ব্যবস্থাপক সর্বদা দুর্বল থাকেন| এই পছন্দসই কর্মীবাহিনী থাকার কারণে অন্যান্য কর্মীদের সততা ,আন্তরিকতা ,পরিশ্রম কোন কিছু ব্যবস্থাপকের দৃষ্টিগোচর হয় না|সমস্ত সুযোগ সুবিধা এই পছন্দসই কর্মীবাহিনী পেয়ে থাকেন যেটা বৈধ হতে পারে আবার অবৈধ হতে পারে| ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত পছন্দ তাদের এই অর্জনের অন্যতম কারণ|এতে করে সৎ, নিষ্ঠাবান ,আন্তরিক কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়| কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার এটিও একটি বড় কারণ|

5. যোগাযোগের সমস্যা: কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ সমস্যা অনেক ধরনের হতে পারে অনেক সময় ব্যবস্থাপক অথবা সুপারভাইজার সাপ্তাহিক বা মাসিক সভা আহবানের মাধ্যমে কর্মীদের প্রতিষ্ঠান বর্তমান অবস্থা ,লাভ ক্ষতি, প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো তথ্য হালনাগাদ করেন না |ক্রেতার সাথে সম্পর্ক কেমন., কোন প্রক্রিয়ায় সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায় এ বিষয়ে কোনো পরামর্শ দেন না| ক্রেতাদের কোন জিনিসের চাহিদা কেমন ,চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতা কত দাম দিতে চান এই বিষয়ে জানার এবং অধিনস্তদের জানানোরআগ্রহ থাকে না |তাছাড়া প্রতিষ্ঠান ভেতরে সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগের অভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে ওঠে না| কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ বিষাক্ত হওয়ার জন্য এটিও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ |

6. কর্মক্ষেত্রের কর্মপন্থা অনুসরণ অসঙ্গতি:একটি প্রতিষ্ঠান ছোট হোক অথবা বৃহদায়তন যাই হোক না কেন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা থাকা উচিত | কর্মপন্থা কর্মীদের কি করা উচিত, কি করা থেকে বিরত থাকা উচিত এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকে| প্রতিষ্ঠানের মালিক বা নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে যারা থাকেন তারা চান কর্মীরা যেন কর্মপন্থা অনুযায়ী বুঝেশুনে কাজ করেন |সময়ের সাথে সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীদের সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনা এবং কর্মপন্থা পরিবর্তন যোগ্য হতে হবে| পরিকল্পনা এবং কর্মপন্থা যদি পরিবর্তনের সুযোগ না থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার কর্মক্ষেত্র আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়|এরকম কর্মপরিবেশে আপনার মেধার বিকাশ সম্ভব নয় এবং আপনার দক্ষতা কাজে লাগানোর সুযোগ খুব একটা থাকেনা|

দুর্ভাগ্যক্রমে কর্মক্ষেত্র এরকম অনেক অবস্থা বা পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে যেখানে আমরা অন্যজন কী করলো ,কি করলো না এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা |বিষাক্ত পরিবেশে কাজ করাটা নির্ভর করে আমাদের সহ্য শক্তির উপর |যদি বিষাক্ত কর্মপরিবেশ আমাদের কর্মক্ষেত্রে কাজে অনীহা তৈরি করে, কর্মস্পৃহা নষ্ট করে দেয়, কর্মক্ষেত্রের ভেতরে এবং বাইরে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করে দেয় ,শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তাহলে এ ধরনের কর্মপরিবেশ থেকে আমাদের দ্রুত বের হয়ে আসার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার উপযুক্ত সময় এখনই|

Factors affecting the pricing system of Hilsha fish

Rojina Akter, Lecturer,Department of School of Business, AUB

The Hilsa ilisha constitutes the largest single-species fishery of Bangladesh. It accounts for about 30% of the country’s total fish production; the fishery employs a large number of people many of whom live below the poverty line, find employment in the coastal fish marketing chain as fisherman, assembler, processors traders, intermediaries, transporters and day laborers including women and children (Marine Fishery Resource Management 1985-86 & Dr. Nesar Ahmed 2005).

Hilsha fish (Tenualosa ilisha) is the national fish of our country and all people like this fish on their meal but due to involvement of huge number of intermediaries in marketing system of it the price remain out of range of final consumer. There are a number of factors that are connected with pricing system of Hilsha. Most influencing factor is Value chains. Dr. Omar Imran (et.al 2013) depicted a picture of value chain in the following way-

Domestic market

Value chain – I

Fishermen – Aratdar – Paiker – Aratdar – Retailer – Consumer

( Distant market )

Value chain - II

Fishermen – Aratdar – Paiker – Retailer – Consumer

( Local market )

Value chain - III

Fishermen – Aratdar – Retailer – Consumer (Local market)

Overseas market

Value chain - IV

Fishermen – Aratdar – LC Paiker – Consumer

The volume of product offered for sale is another issue that determines the price at market level. Prices of Hilsha may be raised due to the large presence of buyers in the markets .That’s why it is said that the number of buyers attending the market is also the crucial factor that strongly works behind the pricing system. Variation of quality of and size of fish are also considered for determining the price in the wholesale market. All the intermediaries who are involved in the buying and selling of Hilsha fish follow the open bargaining method for fixing the price of their products. On the basis of supply and demand of product the prices are fixed at Arat level through auction. Perishes ability of product, absence of storage facilities and immediate need for cash are influential factors because of which the fish farmers enjoy low bargaining power while making transactions with Aratdar. Aratdar’s commission , Transportation cost for retailer are treated as marketing cost for intermediaries which is in account for price fixation also. For fixation of price of Hilsha attention must be paid to market integration because it shows the degree of interrelationships between price movements in two markets .Price of Hilsha fluctuated in different months which is known as Seasonal price variation. The cause of this fluctuation might be due to the change in demand or other political instability in different months. “ Rise in catch may bring down hilsa retail price that is Hilsa’s catch completely depends on the right kind of weather condition — ilshe guri bristi (drizzle) and pubali haoa (east wind).Weather conditions that make fishermen rush to the confluence and the catch increased steadily” (The Times of India, August 14, 2020).

Hilsh fish is so much demanding to people all over the world and still sold at high priced but fishermen can not receive reasonable price due to involvement of mahajons (money lenders) who enforced fishermen to sell at prefixed rate as a result economic conditions of the fishermen are not changing. (Fazlul Hoque et al 2017)

সাফল্যের ইতিকথা

মার্জিনা আক্তার রেবা প্রভাষক(ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ)

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

জীবনে সাফল্য নামক সোনার হরিণের দেখা সবাই পেতে চায়| সবাই চায় তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক এবং সে একটা পরিপূর্ণ জীবন পাক | একটা পরিপূর্ণ জীবন পাবার জন্য মানুষকে অনেক মূল্য দিতে হয় আর সে মূল্য সবাই দিতে পারে না | যার জন্য বেশিরভাগ মানুষের জীবনে সাফল্য আসেনা | সাফল্য লাভের জন্য যে মূল্য দিতে হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো যন্ত্রণা এবং ত্যাগ | এখানে যন্ত্রণা বলতে শারীরিক যন্ত্রণা বুঝায় না, এ যন্ত্রণা মানসিক যন্ত্রণা| এই যন্ত্রণা শুরু হয় ছাত্রজীবনে , জীবনে সাফল্য লাভের জন্য পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা জরুরী | আর সে আশায় পরীক্ষার কিছুদিন আগে আমরা যখন সিরিয়াসলি পড়াশোনা শুরু করি তখন পড়ার ফাঁকে ফাঁকে প্রায়ই আমাদের দুচোখ জুড়ে ঘুম চলে আসে , মনে হয় একটু বাইরে বেরিয়ে আসি, নয়তো মোবাইলটা একটু চেক করি বা মোবাইলে একটু গেম খেলি অথবা টিভিতে কোন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান উপভোগ করি| এত ইচ্ছের ভিড়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়া খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে |শত বিনোদনের হাতছানি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চোখে মুখেএকটু পানি দিয়ে আমরা আবারো পড়াশোনায় মনোনিবেশ করি | নিজেকে আটকানোর সময় ভীষণ যন্ত্রণা হয় এই যন্ত্রণার শারীরিক নয়, এ যন্ত্রণা মানসিক যন্ত্রণা| ইচ্ছে গুলো কে গলা টিপে ধরতে হয় | খুব ভোরে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যখন আমরা ব্যায়াম করতে মনস্থির করি তখন ঘড়ির কাটায় ছয়টা বাজার সাথে সাথে আরামের ঘুম হারাম করে আমরা ব্যায়াম করার জন্য বাইরে বের হই | বিছানা ছাড়তে আমাদের অনেক কষ্ট হয় ,আমাদের আরামের ঘুম ত্যাগ করতে হয়| নিজস্ব উদ্যোগে আমরা যখন কোন ব্যবসা বা ছোটখাটো কাজ আরম্ভ করি ,হোক না সেটা ছোট পরিসরে, আমরা দিন-রাত উৎসর্গ করি সে ব্যবসা বা কাজটার পেছনে | আমাদের বন্ধুরা যখন পরিবার-পরিজন ,আত্মীয়-স্বজন নিয়ে সুন্দর একটা সময় কাটায় তখন আমরা নির্ঘুম চোখে ব্যস্ত সময় পার করি আমাদের ব্যবসায়ী উদ্যোগকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য | কাজ করতে করতে যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে যাই, দুচোখ জুড়ে ঘুমের বসতি হয়, ঠিক তখনই আড়চোখে ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে নিজের বেঁধে দেয়ার সময়সীমা অবলোকন আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঁচটা শেষ করার জন্য দ্বিগুণ উদ্যমে নেমে পরী কাজে ,ঘুমের বুকে কষাঘাত করে | ঠিক তখনই এক ধরনের যন্ত্রণা আমাদের বুকে বাসা বাঁধে,এ যন্ত্রণা বলে বোঝানোর নয় যন্ত্রনাটা মানসিক যন্ত্রণা আর ত্যাগ করতে হয় ন্যূনতম বিশ্রাম আর ঘুম| যখন আমাদের বন্ধুরা নেশায় বুঁদ খাওয়া-দাওয়া , পার্টি ,কনসার্ট ,সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এর নকল দুনিয়া উপভোগ করতে নিজেদের মূল্যবান অর্থ ও সময় নষ্ট করে,নকল বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে আমাদের সঙ্গে করতে চাই তখন হয়তো আমরা যাবতীয় মোহ মায়া ত্যাগ করে হয়তো পড়াশোনায় মনোনিবেশ করি, নয়তো নতুন জিনিস জানার চেষ্টা করি,, নিজের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করি শুধুমাত্র সাফল্য লাভের জন্য, আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য |

আনন্দ-ফুর্তি আর নেশায় বুঁদ না হয়ে, সুস্বাস্থ্যের আশায় কম স্বাদযুক্ত, পুষ্টিকর খাবার খেয়ে পেট ভরাই| আর এসবের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করে সঞ্চিত রাখি ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য|

সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর ক্লান্ত শরীরে পারিবারিক প্রয়োজন মিটিয়ে ,ফালতু লোকজন, আড্ডা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ব্যবসায়ী বিনোদনের সময় না দিয়ে, অথবা অযথা টাকা খরচ না করে, উচ্চাভিলাষী জীবনযাপন না করে আমরা যখন নিজের উদ্যোগী মনের বিকাশ ঘটাতে সময় ব্যয় করি, সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করি তখনও আমাদের দরকার হয় ত্যাগ | যখন আমাদের চিন্তা-চেতনা ,চাওয়া-পাওয়ার সাথে আমাদের প্রিয় বাবা মায়ের চিন্তা-চেতনার বিস্তর ফারাক থাকে, হয়তো আমরা চাচ্ছি একটা আর তারা আমাদের দিয়ে করাতে চাচ্ছেন আরেকটা | যখন তাদের চিন্তা ভাবনা আর মতামত কে অগ্রাহ্য করে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার প্রয়াস অব্যাহত রাখি তখন আমরা ভীষণ মানসিক যন্ত্রণায় ভুগি | প্রিয় মানুষদের বিরুদ্ধে যাওয়া আর তাদের থেকে আলাদা হবার যে যন্ত্রণা আর ত্যাগ তা আমাদেরকে কুরে কুরে খায় |জীবনসঙ্গী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন ,বন্ধু-বান্ধব ,প্রতিবেশীদের উপেক্ষা করে ,সামাজিক রীতিনীতির বাইরে গিয়ে, সমস্ত আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে সততার সাথে পরিশ্রম করে, সমগ্র প্রেম ভালোবাসা কাজের প্রতি দিয়ে , আমরা সফলতা অর্জন করি |সাফল্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ভেজা হয়না বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে ,দেখা হয় না বর্ষার প্রথম কদম ফুল, শীতের সকালে নরম ঘাসের উপর এক ফোঁটা শিশির বিন্দু ,হয় না খাওয়া নবান্নের পিঠা পায়েস, হয়না শীতের সকালে আরাম করে ইজি চেয়ারে বসে নরম রোদের পরশ মাখা| এত যন্ত্রণা আর ত্যাগের বিনিময় সাফল্য ঠিকই আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা রয়ে যাই বড্ড একা, নিঃসঙ্গ, বন্ধুহীন | আমাদের ঘিরে রাখে একদল স্বার্থান্বেষী ছদ্দবেশী বন্ধু মহল আর ছদ্দবেশী শুভাকাঙ্ক্ষী |