All publications of Mir Aziz Hasan . Kesabpur , Bangladesh
মাথার খুশকি দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় কী?
আমরা অনেকেই কমবেশি খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকি। খুশকি আসলে হচ্ছে আমাদের মাথার মরা চামড়া বা ডেড সেলস বলা যেতে পারে। খুশকি দূর করতে অনেক কিছুই ব্যবহার করা হয়।
আমি আপনাদের মাঝে এমন কতকগুলো টিপস্ শেয়ার করব যেগুলো ফলো করলে আপনি খুব সহজেই খুশকির সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন। খুশকি সমস্যা দূর করার জন্য নানান মানুষ নানান কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে আমি সেই রকমই কয়েকটি পদ্ধতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করছি, তো চলুন শুরু করা যাক।
১) খুশকি দূর করতে নারিকেল তেল (খুশকি দূর করার উপায়)
নারিকেল তেল মাথার তালুর পানিশূন্যতা এবং খশকির প্রবণতা কমিয়ে দেয়। নারিকেল তেল আপনি তিন দিন পর পর ব্যাবহার করবেন। খেয়াল রাখবেন যেন খুব বেশী ও কম না হয়ে যায়। তাহলে আবার সমস্যা হবে।
২) খুশকি দূর করার উপায় (অ্যালোভেরা)
অ্যালোভেরার জেল ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
একটা ডাল ভেঙ্গে তার জেল চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রেখে দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট তারপর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সেটি পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এতে আপনার খুশকি দূর হয়ে যাবে। অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার না করে।
৩) অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার না করা
আমরা হয়তো জানি না অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করার ফলে তার রাসায়নিক পদার্থ যেটা রয়েছে সেটা আমাদের মাথার মাথার ত্বকের ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই এখন থেকে নর্মাল anti-dandruff শ্যম্পু গুলো ব্যবহার বন্ধ করে দিন, এতে খুশকির সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।
৪) ভাল অর্গানিক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
বাজারে অনেক ধরনের ভালো অর্গানিক শ্যাম্পু পাওয়া যায় যেমন রোজমেরি, সেইস জজোজা, টি ট্রি, এসেনশিয়াল তেল ইত্যাদি। এগুলো সাধারণত আমাদের ত্বকের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং স্ট্রং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে এগুলোর মাঝে। মাথার তেল উৎপাদনে ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে এসব অর্গানিক শ্যাম্পুগুলো এবং বাজে কিছু রাসায়নিক থেকে পুরোপুরি মুক্ত তাই আপনি বাজার থেকে কোন ভাল অর্গানিক শ্যম্পু কিনে এনে ব্যবহার করুন। এতে আপনার খুশকির সমস্যা আর হবে না।
৫) টেনশন না করা (খুশকি দূর করার উপায়)
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে টেনশন বা চিন্তা করলে মাথার খুশকি বেড়ে যায় তাই সবসময় টেনশন বা চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন এতে খুশকির পরিমাণ কমে যাবে।
৬) শ্যাম্পু ব্যবহার করা কমিয়ে দিতে হবে সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
৭) ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা পরিষ্কার করতে হবে।
৮) টি ট্রি অয়েল
এই টি ট্রি অয়েল এ রয়েছে মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা খুশকি দূর করতে কার্যকরী। আমরা সাধারণত আঙ্গুল দিয়ে যে ভাবে তেল ব্যবহার করে থাকি ঠিক সেইভাবেই ব্যবহার করতে হবে এটি।
৯) গোসলের আগে নারিকেল তেল ব্যবহার
আপনাদের জন্য রয়েছে আরও একটি কার্যকরী টিপস সেটি হল আপনি গোসল করার ৩০ মিনিট আগে খুব ভালো করে নারিকেল তেল চুলের মধ্যে লাগিয়ে নিন তারপর ভালো করে মেসেজ করুন তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহার করবেন সপ্তাহে 2 থেকে 3 বার, দেখবেন আপনার খুশকির সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
১০) খুশকি দূর করতে নিমপাতা
নিমপাতাতে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যা চুল পড়া দূর করতে খুব কার্যকর। চুলের যত্নে এটা অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রথমে কয়েক কাপ পানির সাথে কিছু নিম পাতা সিদ্ধ করে নিন। এরপর ঠন্ডা হলে এগুলো দিয়ে মাথা পরিষ্কার করে ফেলুন বা নিম পাতা বেঁটে মাথায় লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি দূর হয়ে যাব।
উপরোক্ত নিয়মগুলো ছাড়াও আপনি এই ওষুধগুলো ব্যবহার করতে পারেন:
Nyclobet shampoo plus ketocon shampoo mixed
every alternate day keep it for 5 minutes during taking bath.
Clarizol solution at night.
মেছতার দাগঃ কারন ও প্রতিকার
পুরো চেহারার শুধু এক স্থানে একটি দাগ। যে কারো নজর প্রথম গিয়ে পড়ে সে দাগের দিকেই। এটি নষ্ট করে দেয় পুরো চেহারার সৌন্দর্যকে।
আজ আমরা এমনই এক প্রকার দাগ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করবো, যার নাম মেছতা। আমরা প্রথমে মেছতা কেন হয় সে বিষয়ে আলোচনা করবো, এবং তারপর আলোচনা করবো এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে।
তাহলে চলুন, শুরূ করা যাক।
গ্রীক শব্দ মেলাজ থেকে মেলাজমা শব্দের উৎপত্তি যার অর্থ কালো। যে কেউ এতে আক্রান্ত হতে পারে তবে মহিলারাই বেশি আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণ করেন বা হরমোন থেরাপি নেন। ত্বকের যে সমস্ত জায়গায় সূর্যরশ্মি বেশি পড়ে সে সমস্ত জায়গা যেমন- উপরের গাল, নাক, ঠোঁট এবং কপালে মেছতা বেশি দেখা যায়।
ত্বক কালো হওয়ার প্রধান উপাদান হল মেলানিন, যা তৈরি হয় ত্বকের একটু নিচে অবস্থিত melanocyte এ, এবং Transport হয় ত্বকের উপরে অবস্থিত keratinocyte এর মধ্যে। এতে যত মেলানিন থাকবে ত্বক তত কালো হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় মেলানিন বেড়ে যাওয়াই মেছতা তৈরীর কারন।
এই মেলানিন উৎপন্ন হয় Tyrosine নামে এক Amino Acid থেকে Tyrosinase enzyme এর সহায়তায়।
এখন মনে করতে পারেন, এই amino acid বিহীন প্রোটিন খেলেই তো মেছতা থেকে বাঁচা যায় !
না! এটি একটি Non-Essential Amino Acid, যা না খেলেও আপনার শরীরে তৈরি হবে।
তাহলে উপায়??
Tyrosinase Enzyme টাকেই বন্ধ করতে হবে। হ্যাঁ, এ এনজাইমটাকে বন্ধ করেই মেসতার দাগ দূর করা যায়।
আমাদের শরীরকে যে চামড়া আবৃত করে রাখে, তার বাহিরের অংশকে বলা হয় ইপিডার্মিস এবং এর ইমিডিয়েট নীচের অংশকে বলা হয় ডার্মিস। আমরা বলেছি, মেছতা হচ্ছে স্কীন বা চামড়ার উপরিভাগে মেলানিনের উপস্থিতির ফলে সৃষ্ট এক প্রকার কালো দাগ। আর মেলানিন তৈরী হয় মেলানোসাইট নামক এক প্রকার কোষের মধ্যে। মেলানোসাইট হচ্ছে চামড়ার মধ্যকার এক প্রকার কোষ।
মেলানোসাইটে মেলানিন তৈরীর প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়।
১) এক্টিভেশান অফ মেলানোসাইট
২) সিনথেসিস অফ মেলানিন
৩) এক্সপ্রেশান অফ মেলানিন অন দ্যা সারফেস অফ দ্যা স্কিন।
প্রথমে আসি,
এক্টিভেশান অফ মেলানোসাইটঃ
এতে কিছু ফ্যাক্টর জড়িত, যা মেলেনোসাইটকে এক্টিভেট করে। মেলানোসাইট এক্টিভেট না হলে তা হতে মেলানিন তৈরী হবেনা। আর মেলানোসাইটকে এক্টিভেট করে কিছু জিনিস, যেমন- সূর্যের আলো, প্রচন্ড মানসিক চাপ, ইরিটেশান, জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি ও হরমোন থেরাপী।এগুলোই মূলত মেলানোসাইটকে এক্টিভেট করে এবং মেলানিন তৈরী করে। মেলানোসাইট এক্টিভেট হবার পর, এখান থেকে বিভিন্ন প্রকৃয়ার মাধ্যমে মেলানিন সিনথেসিস হয়। আমরা বলেছি, মেলানোসাইট চামড়ার একটু নীচে অবস্থিত থাকে। এখানে মেলানিন তৈরী হবার পর উক্ত মেলানিন চামড়ার উপরে অবস্থিত কেরাটিনোসাইট নামক কোষে পৌঁছে। এখানে যতো মেলানিন থাকবে, ত্বক ততবেশি কালো হবে এবং এর চিকিৎসাও তত জটিল হবে।
মুখের দাগ দূর করার জন্য হরেক রকমের কসমেটিক্স ব্যবহার করা হয়, যার অনেক উপাদানই ক্ষতিকর। মিডিয়ার কল্যানে আমারাও এ বিষয়ে অবগত। সুতরাং মেছতার দাগ দূর করার জন্য আমরা এর মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে আলোচনার চেষ্টা করবো।
তবে মেছতার চিকিৎসার জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা। অর্থাৎ, সূর্যের আলোকে সরাসরি শরীরে পড়া থেকে প্রটেক্ট করা। সেজন্য ক্যাপ, বিভিন্ন ধরনের পোষাক, (কোন গ্রহনযোগ্য অথোরিটি কতৃক অনুমোদিত) সানস্ক্রীম বা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটিই প্রাথমিক চিকিৎসা, তবে পূর্ন চিকিৎসা নয়। আমেরিকান একাডেমী অফ ডার্মাটোলজির মতে, শুধুমাত্র সানস্ক্রীম যথেষ্ট নয়।
তাহলে উপায়??
US FDA- তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে একটি ড্রাগের অনুমোদন দিয়েছে, যা মেছতার চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী। তিনটি উপাদানের মধ্যে রয়েছে-
হাইড্রোকুইনোন, ট্রিটিনয়িন এবং ফ্লুসি হাইড্রোকুইনোন
আমরা প্রথমে বলেছিলাম, মেলানিন উৎপন্ন হয় Tyrosine নামে এক Amino Acid থেকে Tyrosinase enzyme এর সহায়তায়।
Tyrosine একটি Non-Essential Amino Acid, যা শরীরে নিজ থেকেই তৈরি হবে। Tyrosinase Enzyme টাকে বন্ধ করলেই মেছতার দাগ দূর করা সম্ভব হবে। আর হাইড্রোকুইনোন এ কাজটিই করে।
ট্রিটিনয়িন এটি এক প্রকার ভিটামিন। এটি স্কীনকে সুন্দর করে, মোলায়েম ও আকর্ষনীয় করে তোলে।
ফ্লুসিনোলন এসিটোনাইডঃ এটি এক প্রকার মাইল্ড কর্টিকস্টেরয়েড। মাইল্ড কর্টিকসটেরয়েড হবার কারনে এটিকে স্কীনে ব্যবহার করা যায়। এটি স্কীনে কোন প্রদাহ বা ইনফ্লামেশান থাকলে অথবা কোন চুলকানী থাকলে তা দূর করে।
এভাবেই তিনটি মূল উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত এ ড্রাগটি মেছতার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী ঔষুধ। এর কোয়ালিটি ও গুনগত মানের উপর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও গবেষনার পর বর্তমানে এটি মেছতার চিকিৎসায় ফার্স্ট লাইন ট্রিটমেন্ট হিসেবে বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত।
এছাড়াও আমাদের এ অঞ্চলের অর্থাৎ এশিয়ার রোগীদের উপর চালানো এক গবেষনায় দেখা যায়, এ ড্রাগটি এশিয়ার রোগীদের উপর খুবই কার্যকরী। এবং মাত্র চার সপ্তাহ ব্যবহারে এটি মেছতার দাগ অনেকটা তুলে ফেলে এবং আট সপ্তাহ ব্যবহারে এটি মেছতা প্রায় নির্মূল করে।
বর্তমানে এ ড্রাগটি ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও।
তুলনামূলক ভাবে দামে স্বস্তা, শুধুমাত্র হাইড্রোকুইনোন এর চেয়ে এর অধিক কার্যকারীতা, প্রমানিত ফলাফল এবং এক্সেলেন্ট সেফটি প্রোফাইল এ ড্রাগটিকে মেছতার চিকিৎসায় সব দিক দিয়ে গ্রহনযোগ্য ড্রাগে পরিনত করেছে।
এক গবেষনায় এ ড্রাগ নিয়ে করা একটি স্টাডিতে দেখা যায়, ৬৬% পেশেন্টই প্রথম চার সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়েছেন। এবং এক টানা ৫২ সপ্তাহ ব্যবহারেও এর কোন সাইড ইফেক্ট দেখা যয়নি। এটি Safe এবং Effective.
এবার আমরা ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নিন।
হাতের আংগুলে খানিক্টা ক্রিম নিয়ে তা মেছতার স্থানে আলতোভাবে ঘষুন।
ক্রীমের কালার অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত ঘষতে থাকুন।
শোয়ার আধাঘণ্টা পুর্বে এ ক্রিম ব্যবহার করা উত্তম। দিনের বেলায় ব্যবহার করলে অবশ্যই সানক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
অতীব গূরত্বপূর্ন একটি বিষয় হচ্ছে, গর্ভাবস্থায় এ ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না। আর অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করূন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী এ ঔষুধ বাজারজাতকরণ শুরু করেছে। এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ড হলো-
ইবনেসীনার আমেলা।
ইনসেপ্টার ট্রাইমেলা
এবং জিস্কার মেলাট্রিন।।
মেছতা স্থায়ীভাবে দূর করার উপায়
মেছতা ত্বকের একটি অন্যতম সমস্যা। সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর মেয়েদের ত্বকে মেছতা বেশি দেখা যায় যদিও ইহা নারী ও পুরুষ সবার ত্বকে দেখা দিতে পারে। মেছতার কারণে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয় এবং নারীরা মানসিকভাবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে মেছতা ত্বকের একটি Common সমস্যা। আজকে চলুন মেছতা নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
মেছতা কি ?
মানুষের ত্বকে মেলানিন নামক একটি উপাদান থাকে যার উপস্থিতির কারণে ত্বক ফর্সা বা কালো হয়। বয়সের সাথে সাথে আমাদের ত্বকের মেলানিন এর ভারসাম্যতা নষ্ট হয় এবং ত্বকের কোনো অংশে মেলানিনের অধিক উপস্থিতির কারণে ত্বক বেশি কালো দেখায়। মেছতা একটি বিশেষ ধরণের (Pigmentation). মেছতার কারণে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়, কিন্তু ইহা ত্বকের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর নয়।
মেছতা শরীরের কোথায় দেখা যায়?
মেছতা শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণত গালে মেছতা খুব বেশি দেখা যায়। এছাড়াও নাকের উপরে গলায়, ঘাড়ে ইত্যাদি অংশেও মেছতা দেখা যেতে পারে।
মেছতা কি কি কারণে দেখা যেতে পারে ?
বিভিন্ন কারণে ত্বকে মেছতা দেখা দিতে পারে। সাধারণত সন্তান জন্মদানের পর মেছতা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও রোদে বেশি সময় থাকলে, ত্বকের হরমোনের পরিবর্তনের ফলে বা বংশগত কারণেও ত্বকে মেছতা দেখা যেতে পারে। মেছতার অন্যতম মূল কারণ হল নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না রাখা। ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে মৃত কোষ ত্বকে অনেকদিন ধরে জমা হতে থাকে এবং ত্বকে মেছতা পড়ে যেতে পারে।
মেছতার প্রতিকার
- ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
- বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
- বেশি পরিমানে চিনি বা জাল না খাওয়াই ভালো।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল না খাওয়া ভালো।
রোদে বের হবার পূর্বে অবশ্যই Suncream ব্যবহার করতে হবে। আপনার জন্য কোন Suncream প্রযোজ্য হবে তা আপনার ত্বকের ধরণের উপর নির্ভর করবে। Suncream রোদে যাওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে লাগাতে হবে এবং ২ ঘন্টা পর পর পূর্বের Suncream ধুয়ে নতুন করে লাগাতে হবে।
মেছতার চিকিৎসা ?
ত্বকের নিয়মিত যত্নই হতে পারে খুব ভালো চিকিৎসা। তবে, যেহেতু মেছতা অনেক সময় হরমোনের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে, তাই অনেক সময় ত্বকের মেছতা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে মেছতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে থাকে। এই জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উত্তম। তবে মেছতা সমস্যায় কিছু কিছু ট্রিটমেন্ট খুই কার্য্যকরী যেমন :
মাইক্রোডার্মাব্রেশন : মাইক্রোডার্মাব্রেশন মূলত একটি Exfoliation পদ্ধতি। এই মাইক্রোডার্মাব্রেশন এর মাধ্যমে উপরিত্বকের মৃতকোষ সমূহ অপসারণ করা হয়, ফলে ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার থাকে, তাই ত্বকে মেছতা জমতে পারে না।
Bio-Hydrafacial: Bio-Hydrafacial ত্বকের মেছতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রযুক্তি। এই ট্রিটমেন্ট এর প্রথমেই মাইক্রোডার্মাব্রেশন করানো হয় এবং একইসাথে ত্বকের মেছতা দূর করার জন্য কার্যকরী সিরাম যেমন ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ সেরাম দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা হয়। এরপর ভিটামিন বি সমৃদ্ধ সিরাম দিয়ে ত্বকের অতিরিক্ত মেলানিন কমিয়ে দেয়, এবং এই সেরামের অন্যান্য উপাদান ত্বককে Nourish এবং Moisture প্রদান করে, ফলে ত্বক খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয় এবং মেছতা সহ ত্বকের অন্যান্য সমস্যা চলে যায়।
ভিটামিন সি সিরাম: এই সেরামের Nutrients সরাসরি ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং আন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ ত্বকের পিগমেন্টেশন কমিয়ে দেয় যা ত্বকের মেছতা সমস্যায় খুবই কার্যকরী হয়।
ফর্সাকারী ক্রিম: মেছতা সমস্যার জন্য আপনি ন্যাচারাল Ingredients যুক্ত Melanyc ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। দেখে নিতে হবে যে ক্রিমে Chromabright®, Kojic Acid, Phytic Acid, Glycolic Acid, Arbutin, Vitamin C, Nicotinamide আছে কি না ? এসব উপাদান ত্বকের মেলানিন নিয়ন্ত্রণ করে মেছতা দূর করতে সাহায্য করে।।
undefinedছুলি থেকে মুক্তির উপায়
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘ছুলি’, ‘ছইদ’ বা ‘ছলম’ ইত্যাদি নানা নামে পরিচিত চর্মরোগটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় টিনিয়া ভারসিকলার। এটি এক প্রকার ছত্রাকের সংক্রমণ। এ রোগে ঘাড়ে, বুকে, পিঠে ও শরীরের অন্যান্য উন্মুক্ত অংশে সাদা বা বাদামি গাঢ় বা হালকা ছোট ছোট দাগের মতো হয়।
স্যাঁতসেঁতে ও গরম আবহাওয়ায় এ ছত্রাকের আক্রমণ বেশি হয়। দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে, স্টেরয়েড ট্যাবলেট সেবনেও ছুলি হতে পারে। অনেকে যেখানে একত্রে থাকে, জিনিসপত্র ব্যবহার করে, সেখানে এই ছত্রাকের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। যেমন: মেস, ব্যারাকে, ডরমিটরি, হোস্টেল ইত্যাদিতে। এক পরিবারের একজনের ছুলি হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হতে পারে।
সাধারণত ত্বকের দাগগুলো ভালো করে দেখেই রোগ নির্ণয় করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে এই রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
রোগের আক্রমণ এড়াতে কী করবেন?
স্যাঁতসেঁতে আর্দ্র আবহাওয়ায় যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন থাকুন।
শরীরের যেসব স্থানে ঘাম বেশি হয় সেসব স্থান বারবার ধুয়ে পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। গরমের দিন রোজ একবার বা দুবার গোসল করুন। ঘামে ভেজা পোশাক পাল্টে ফেলুন ও না ধুয়ে আর ব্যবহার করবেন না।
অন্যের ব্যবহৃত তোয়ালে, রুমাল ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
একাধিক ব্যক্তি কখনো একই ক্ষুরে মাথা বা দাঁড়ি কামাবেন না।
ছুলি আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ত্বকে দেখা যায়। আবার নিজে থেকে চলে যায়, অনেক সময় যেতে চায় না। এটি ছত্রাকের সংক্রমণ, ঘরোয়া পদ্ধতিতে লেবুর রস বা টম্যাটো পেস্ট করে অথবা পেঁয়াজ কুচি ত্বক এর ওই সব জায়গায় ঘষলে দাগ হালকা হতে পারে।
ঘরোয়াভাবে ভেষজ উপায়েও ছুলি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সেক্ষেত্রে নিচের যেকোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর রস:- ছুলি বা বাদামী দাগ দূরীকরণে লেবুর রস অত্যন্ত কার্যকরী। লেবুর রসে চামড়ার রঙ হালকা করার উপাদান আছে যা ত্বকের গাঢ় দাগ দূর করে ব্লিচের মাধ্যমে। লেবুর রস চিপে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দুইবার এটি করুন। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে লেবুর স্ক্রাব। একটি লেবুর অর্ধেকটা অংশ কেটে নিয়ে তার উপর আধা চামচ চিনি ছিটিয়ে নিন। তারপর এটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এক বা দুই সপ্তাহ নিয়মিত করুন।
লেবুর রস: যেখানে ছুলি হয়েছে সেখানে একটু লেবু ঘসে দিন। পরে সেখানে sodium thiosulphate solution (জলে sodium thiosulphate গুলে about 5% solution বানাবেন) লাগান তুলোতে ভিজিয়ে। দিনে এই প্রক্রিয়া দুই বার করবেন, একবার স্নানের পর আর একবার শোবার পূর্বে। এই রকম করতে থাকুন, আস্তে আস্তে দেখবেন ছুলি সেরে যাচ্ছে। ছুলির fungus sodium thiosulphate এ মরে যায়।।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর নানা গুণ অনেকেরই জানা। চুলের যত্নেও অ্যালোভেরার আছে নানা ভূমিকা। এভারগ্রিন অ্যাডামস অ্যান্ড ইভের রূপবিশেষজ্ঞ নাহিদ আফরোজ তানি জানালেন অ্যালোভেরার সেসব গুণ।
চুল মজবুত ও লম্বা করতে অ্যালোভেরা বেশ কার্যকর।চুল মজবুত ও লম্বা করতে ভেষজ এ গাছটি ব্যবহার হয়ে আসছে হাজার বছর আগে থেকে।
খুশকি দূর করে
অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে ছত্রাকবিরোধী এবং জীবাণুনাশক উপাদান, যা মাথার ত্বকের চুলকানি প্রতিরোধ করে। ফলে খুশকি থেকে মুক্ত থাকে চুল।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার
অ্যালোভেরায় রয়েছে বিশেষ ধরনের ময়েশ্চারাইজার, এটি আপনার চুলে কাজ করে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে এবং চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
চুল পড়া কমায়
প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর অ্যালোভেরা চুলের ফলিকলকে পরিপুষ্ট করে চুল পড়া কমায়। চুল দ্রুত বড় হতেও সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম
♦ চাইলে সরাসরিই চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
যা করতে হবে: অ্যালোভেরার ডাল কেটে চামচ দিয়ে জেলটুকু তুলে নিন, এবার সরাসরি মাথার ত্বকে এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে দিন, এরপর মৃদু (মাইল্ড) কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু-তিন দিন ব্যবহারে উপকার পাবেন।
♦ নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল কিংবা মধু মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। পরিমাণ মতো মিশ্রণটি নিয়ে চুলে লাগিয়ে রেখে দিন সারা রাত, পরের দিন শ্যাম্পু করার পর পাবেন ঝরঝরে মসৃণ চুল। চুল লম্বা করতে এই মিশ্রণ দারুণ কার্যকর, ব্যবহার করুন সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন।
♦ তেল ছাড়া অ্যালোভেরার সঙ্গে ব্যবহার করা যায় লেবুর রস, পেঁয়াজের রস, অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও বেকিং সোডা। আপনার চুলের পরিমাণ অনুসারে মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে এক থেকে দুবার। এ ক্ষেত্রে মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট।
♦ যারা নিয়মিত চুলে মেহেদি লাগান, তারা চাইলে মেহেদির সঙ্গেও ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
মনে রাখবেন
♦ উপকারী হলেও অ্যালোভেরা কারো কারো ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই চুলে ব্যবহারের আগে হাতের কবজিতে কিছুটা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে লাগিয়ে দেখুন।
প্রদাহ, র্যাশ বা অন্য কোনো সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।।
মাত্র ১ মাসে মোটা হওয়ার উপায়
রোগা হওয়া যেমন কঠিন; আবার মোটা হওয়াও খুব সহজ নয়। দুটোই কিন্ত কষ্টের। একজন পরিণত মানুষের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে আন্ডার ওয়েট সমস্যায় ভুগতে হয়। এ ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই কখনো কখনো মোটা হওয়াও জরুরি। আসুন জেনে নেই মাত্র ১ মাসে মোটা হওয়ার উপায়-
স্ট্রেস থেকে মুক্তি: শরীরের ওজন দ্রুত কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ স্ট্রেস। তাই ওজন বাড়াতে প্রথমেই স্ট্রেস বা অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে মুক্ত হতে হবে। তাই প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে মেডিটেশন করতে হবে। এতে মস্তিস্ক রিল্যাক্সড হবে। এ ছাড়া দুপুরে আরাম করে ২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। এতে সহজেই ফল পাবেন।
পি-নাট বাটার: পি-নাট বাটার হাই ক্যালোরিযুক্ত একটি খাবার। প্রতিদিন একবার করে রুটি বা বিস্কুটের সাথে পি-নাট বাটার খান, তবে পেট বাঁচিয়ে। এতে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়ে। তাই তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে চাইলে কিনে ফেলুন পি-নাট বাটার।
ড্রাই ফ্রুটস: ড্রাই ফ্রুটস আদর্শ খাবার মোটা হওয়া বা ওজন বাড়ানোর জন্য। এতে ক্যালোরির মাত্রা অনেক বেশি। তাই কাজু, কিশমিশ, খেজুর ও আমন্ড খেলে মোটা হওয়ার ইচ্ছা খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হবে। ব্রেকফাস্টের সাথে ১০-১২টি আমন্ড বা কাজু, কিশমিশ বা খেজুর খেতে পারেন। খাওয়ার আগে রাতে ১-২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া ভালো। দিনে অন্তত ৩ বার খেলে তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।
ক্ল্যারিফায়েড বাটার: এতে শুধু ওজনই বাড়ে না। তার সাথে শরীরকে বেশি পরিমাণে ভিটামিন নিতে সক্ষম করে। তাই ক্ল্যারিফায়েড বাটার খুব কার্যকরী দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য। তবে ১ চামচ ক্ল্যারিফায়েড বাটারের সাথে ১ চামচ চিনি নিতে পারেন। বাটার ও চিনি মিশিয়ে দিনে-রাতে খাবারের ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। ১ মাস এ রুটিন মানলেই দেহের ওজন বাড়বে।
আলু: কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগারে পরিপূর্ণ উপাদান। এ উপাদান আপনাকে সুস্বাস্থ্য রাখতে খুব ভালোভাবে সাহায্য করবে। এর জন্য প্রতিদিন দু’বার করে সেদ্ধ আলু খান। এ ছাড়া আলুর চিপস অলিভ অয়েলে ভেজে প্রিজার্ভ করে রেখেও খেতে পারেন। নিয়মিত খেলেই পার্থক্য চোখে পড়বে।
ডিম: এটি ওজন বাড়ানোর জন্য ভরসাযোগ্য একটি উপাদান। এতে বর্তমান ফ্যাট, প্রোটিন ও গুড ক্যালোরি দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ৩-৪টি ডিমের সাদা অংশ খান প্রতিদিন। তবে কাঁচা ডিম খাবেন না। সেদ্ধ করা ডিমের সাদা অংশই খাওয়া উচিত।।
সৌন্দর্য চর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার ৭টি সহজ ব্যবহার!
ত্বক গ্লো করা, সজীব রাখা, চুল পড়া রোধ করা, চুল ঘন ও লম্বা করা এসবের জন্য যেসব কসমেটিক্স আছে তার একটি সাধারণ উপাদান হল অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরাতে অনেক ধরণের ঔষধি উপাদান আছে বিধায় সৌন্দর্য জগতে অ্যালোভেরার ব্যবহারও অনেক বেশী। কিন্ত এই সৌন্দর্য চর্চায় ঘৃতকুমারী যে অসাধারণ কাজ করে তা অনেকে জানেই না। তাই সৌন্দর্য চর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার সহজ কিছু ব্যবহার নিয়ে আজ আলোচনা করবো।
কী কী করতে পারে এই অ্যালোভেরা?
১) একনে বা পিম্পল দূর করে।
২) পায়ের গোড়ালি ফাঁটা কমায়।
৩) সান বার্ন দূর করে।
৪) ত্বকে বলিরেখা রোধ করে।
৫) ত্বকের যৌবন ধরে রাখে।
৬) ত্বককে সজীব রাখে।
৭) চুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও
৮) মেকআপ উঠাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সৌন্দর্য চর্চায় ঘৃতকুমারী ব্যবহার
(১) শুষ্ক ত্বকের যত্নের কসমেটিক্সে অ্যালোভেরা থাকে কারণ এটি ত্বককে সজীব করে যা আপনিও বাসায় করতে পারেন।ছুরি দিয়ে অ্যালোভেরার ভিতরের জেল বের করে মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ, উজ্জ্বল আর নরম হবে।
(২) বয়সের বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চামড়ায় ভাঁজ পড়ে যা আপনি সহজেই রুখতে পারেন এই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে কারণ এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ।এই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর ভিটামিন এ, বি, সি ও এ উপাদান ত্বকের পুষ্টি যোগায়। রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
(৩) অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের মৃত কোষ দূর করার মাস্ক তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ১ চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল যা ব্লেন্ড করে নিন এরপর এক চা চামচ ওটমিলের গুড়া আর ১/২ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাস্কটি মুখে আর গলায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখবেন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে ১ বার এটি ব্যবহার করুন।
(৪) অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান একনে সারাতে আর নুতন কোষ জন্মাতে কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে করে অ্যালোভেরার আইস কিউব তৈরি করে এই কিউব দিনে দু তিনবার আপনার একনেতে ঘষলে একনের সমস্যা কমে যাবে।
(৫) ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য অ্যালোভেরা অনেক দরকারি। অ্যালোভেরার ব্যবহারে মাথার ত্বকের পি এইচ ঠিক থাকে আর খুশকিও দূর হয়। ২ঃ ১ অনুপাতে অ্যালোভেরা জেল আর ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করতে হবে। চুল খুশকি মুক্ত থাকবে।
(৬) ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ঠোঁট নরম আর মসৃণ করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগলেই ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দেখুন ঠোঁট কত উজ্জ্বল, মসৃণ এবং কোমল হয়ে ওঠে।
(৭) অ্যালোভেরার অ্যান্টিসেপটিক গুনাগুনও উল্লেখযোগ্য। অ্যালোভেরার পাতার জেল বের ফ্রিজে রাখুন আর অল্প কেটে গেলে বা ক্ষত হলে লাগান। দিনে দুই বা তিন বার লাগালেই ক্ষত আরাম হবে।
অতি অল্প খরচে বাজারে এই অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। আপনার রূপচর্চার এই ঘরোয়া উপাদানটি আপনাকে সতেজ, সুন্দর আর উজ্জীবিত রাখবে।।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর যত গুণ
ঘৃতকুমারী শুনে অনেকে ভুরু কোঁচকালেও কিন্ত একে সবাই অ্যালোভেরা নামে ভালোই চেনেন। ঔষধি এই ভেষজের নানা গুণের কথা পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের মানুষের জানা। শরীরে নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে আর অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতুলনীয়। এটি উদ্ভিদ খাদ্য-পানীয় হিসেবে যেমন কার্যকর তেমনি তা বাহ্যিক ভাবেও ব্যবহারযোগ্য। ঘৃতকুমারীর রস পান করে, সালাদ হিসেবে খেয়ে এবং ত্বক ও চুলে ব্যবহার করে আপনিও দারুণ উপকৃত হতে পারেন। এই প্রতিবেদনে ঘৃতকুমারীর ৯ টি অনন্য উপকারিতার কথা তুলে ধরা হলো।
ভিটামিন ও খনিজ:
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজের এক সমৃদ্ধ উৎস। ভিটামিন-এ,সি,ই, ফলিক অ্যাসিড, কোলিন, বি-১, বি-২, বি-৩ (নিয়াসিন) ও ভিটামিন বি-৬ এর দারুণ উৎস এটা। অল্পসংখ্যক উদ্ভিদের মধ্যে ঘৃতকুমারী একটি যাতে ভিটামিন বি-১২ আছে। প্রায় ২০ ধরনের খনিজ আছে ঘৃতকুমারীতে। এর মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার ও ম্যাংগানিজ।
চাপ ও রোগ প্রতিরোধ:
ঘৃতকুমারী দারুণ অ্যাডাপ্টোজেন। শরীরের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বাড়িয়ে বাহ্যিক নানা চাপ ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী উপাদানকে অ্যাডাপ্টোজেন বলা হয়ে থাকে। ঘৃতকুমারী দেহের অভ্যন্তরীণ পদ্ধতির সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে তোলে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। শারীরিক ও মানসিক চাপ মোকাবিলার পাশাপাশি পরিবেশগত দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে সুরক্ষা দিতে পারে ঘৃতকুমারী।
হজমে সহায়ক:
হজমের সমস্যা থেকেই শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধে। তাই সু-স্বাস্থ্যের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে খাবার-দাবার পরিপাক বা হজমের প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক রাখা। পরিপাক যন্ত্রকে পরিষ্কার করে হজম শক্তি বাড়াতে ঘৃতকুমারী অত্যন্ত কার্যকর। ঘৃতকুমারীর রস পান করার দারুণ ব্যাপার হলো এটা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়ারিয়া দুই ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। পরিপাক ও রেচন যন্ত্রকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখে বলে ঘৃতকুমারীর রস পান করলে পেটে ক্রিমি হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।
দূষণ মুক্তি:
ঘৃতকুমারীর রস খুবই আঠালো। এমন উদ্ভিদের আঠালো রস পানের একটা দারুণ ব্যাপার হলো খাদ্যনালীর ভেতর দিয়ে দেহের ভেতরে প্রবেশের সময় থেকেই পুরো পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে করতে যায়। এই রস দেহের অভ্যন্তরীণ নানা টক্সিন বা দূষিত উপাদান শুষে নিয়ে মলাশয় দিয়ে বের করে দেয়। ফলে দেহকে ভেতর থেকে দূষণ মুক্ত রাখতে ঘৃতকুমারীর তুলনা নেই।
অ্যালক্যালাইন সমৃদ্ধ:
সু-স্বাস্থ্যের জন্য খাবার-দাবারে অ্যালক্যালাইন সমৃদ্ধ খাদ্য ও অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্যের ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ৮০/২০ বা ৮০ ভাগ অ্যালক্যালাইন সমৃদ্ধ খাবার ও ২০ ভাগ অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। ঘৃতকুমারী এমন এক খাবার যা অ্যালক্যালাইন তৈরি করে। কিন্ত আজকাল নগর জীবনে আমাদের খাদ্যাভ্যাস এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে প্রায়শ্চই আমাদের অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগতে হয়। ফলে অতিরিক্ত অ্যাসিডের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে মাঝে মধ্যে ঘৃতকুমারী খান।
ত্বক ও চুলের মহৌষধ:
আধুনিক প্রসাধনী সামগ্রীর অন্যতম কাঁচামাল এই অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। ত্বক ও চুলের জন্য এটা দারুণ উপকারী। এটা ত্বকের নানা ক্ষত সারিয়ে তুলতে কার্যকরী। রোদে পোড়া, ত্বকে ফুসকুড়ি পড়া ও পোকার কামড়ের মতো বাহ্যিক সমস্যাগুলো সারিয়ে তুলতে সহায়ক এটা। এমন বাহ্যিক ক্ষতে ঘৃতকুমারীর রস মাখলেও ব্যথার উপশম হবে, কেননা বেদনানাশক হিসেবেও এটা অতুলনীয়। চুল পরিষ্কার করতে, চুলে পুষ্টি জোগাতে এবং চুল ঝলমলে উজ্জ্বল রাখতে ঘৃতকুমারীর রসের জুড়ি নেই।
অ্যামাইনো ও ফ্যাটি অ্যাসিড:
মানব দেহের নানা প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাইনো অ্যাসিড। এমন ২২টি অ্যামাইনো অ্যাসিডকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, এর মধ্যে ৮টি অত্যাবশ্যক। ঘৃতকুমারীতে শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক এই ৮টি অ্যামাইনো অ্যাসিডই আছে। আর এতে মোট অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে ১৮ থেকে ২০ ধরনের। এ ছাড়া নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিডেরও দারুণ উৎস এই ঘৃতকুমারী।
প্রদাহ ও ব্যথা কমায়:
শরীরে নানা ধরনের প্রদাহ দূর করতে খুবই কার্যকর ঘৃতকুমারী। এতে বি-সিসটারোল সহ এমন ১২টি উপাদান আছে যা প্রদাহ তৈরি হওয়া ঠেকায় এবং প্রদাহ হয়ে গেলে তা কমিয়ে আনে। ঘৃতকুমারীর এই সব গুণ হাত-পায়ের জোড়ার জড়তা দূর করে এবং গিঁটের ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সহায়ক:
খাবার-দাবার হজমে সহায়তা এবং শরীরকে দূষণমুক্ত করার মধ্য দিয়ে ঘৃতকুমারী আপনার স্বাস্থ্যের যে প্রাথমিক উন্নতি ঘটায় তার অবধারিত ফল হলো ওজন ঠিকঠাক থাকা। এমনিতে ওজন কমানো নিয়ে অনেক সমস্যা থাকলেও নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পান করলে আপনার ওজনের সমস্যা অনেক কমে আসবে। এ ছাড়া শরীর দূষণমুক্ত রাখতে পারার কারণে আপনার কর্মশক্তি বেড়ে যাবে, এ কারণেও আপনার ওজন কমবে।।
জানেন কি, চোখের পাতা কাঁপলে কি হয়?
আমাদের অনেক সময় চোখের পাতা কাঁপতে দেখা যায়। অনেক সময় বাম চোখের পাতা লাফাতে থাকে আবার কখনো ডান চোখের পাতাও লাফাচ্ছে বলে অনুভূত হয়। এতে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। অনেকেই ধারণা করি, বাম চোখের পাতা কাঁপছে এই বুঝি কোনো অমঙ্গল এসে হাজির! আবার কেউবা মনে করেন ডান চোখ কাঁপছে এই বুঝি আসছে কোনো সু-সংবাদ।
এভাবেই আমাদের মনে বিভিন্ন চিন্তা লালন করে আসছি। বিশেষ করে আগেরকার দিনের লোকেরা এসব বিষয়ের উপর খুব বেশি বিশ্বাসী হয়ে থাকে। তাই আসুন জেনে নেই চোখের পাতা লাফানোর কারণ- মূলত চোখের পাতা লাফানো একধরনের অসুখ। ডাক্তারী ভাষায় একে বলে 'মায়োকিমিয়া' (Myokymia)। পেশীর সংকোচনের কারণেই চোখের পাতা লাফায়। দুই-একবার হঠাত্ চোখের পাতা লাফালে চিন্তার কিছু নেই। কিন্ত সেটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চোখের পাতা লাফায় কেন?
মানসিক চাপ: কঠিন মানসিক চাপের ভেতর দিয়ে গেলে শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
ক্লান্তি: পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোন কারণে ক্লান্তি থেকেও চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারে। ঘুমের অভাবে চোখের পাতা লাফালে পরিমিত ঘুম হলেই সেরে যাবে।
দৃষ্টি সমস্যা: দৃষ্টিগত কোন সমস্যা থাকলে চোখের উপর চাপ পড়তে পারে। টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের আলোও চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। আর এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানোর উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
চোখের শুষ্কতা: কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে, চোখে কন্ট্যাক্ট ল্যান্স ঠিকমতো না বসলে কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। আর এ কারণে চোখের পাতা লাফাতে পারে।
পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা: পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ। বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে এমনটি হতে পারে।
এলার্জি: যাদের চোখে এলার্জি আছে, তারা চোখ চুলকায় বা হাত দিয়ে ঘষে। এতে চোখ থেকে পানির সঙ্গে কিছুটা হিস্টামিনও নির্গত হয়। হিস্টামিনকে চোখের পাতা লাফানোর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।
ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল: কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারে।
এতোক্ষণ চোখের পাতা লাফানোর কারণগুলো পড়তে গিয়ে আপনি নিশ্চয়ই চমকে উঠেছেন এই ভেবে যে, আরে তাই তো! ঘটনা তাহলে এরকম? তাই এখন থেকে ডান চোখ লাফালে সুসংবাদ আসে আর বাম চোখ লাফালে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে এসব চিন্তা মাথায় গেড়ে বসতে দেবেন না। মাত্রাতিরিক্ত চোখের পাতা লাফালে দেরি না করে চিকিত্সকের কাছে যান। আর যদি হঠাত্ হঠাত্ চোখ লাফায় তাহলে এমনিতেই সেরে যাবে, শুধু অপেক্ষা করুন। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মেও এসব বিষয়ের কোনো ভিত্তি নেই। বরং এগুলো কুসংস্কার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে এ সমস্ত কুসংস্কার বিশ্বাসের বিষয়ে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তাই আসুন, এ সমস্ত কুসংস্কার থেকে আমরা নিজেরা সতর্ক হই এবং অপরকে সতর্ক রাখি।।