Local Khagrachhari Chôţţogram news, Gonaoprojatontri Banglade
শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজ এমন সময় তার জন্মদিন এসেছে, যখন করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আক্রান্ত। তাই জন্মদিন উদযাপন হলেও তা যে অন্যান্যবারের মতো জাঁকজমকপূর্ণ হবে না সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শেখ হাসিনা
এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার জন্মদিন এ বছর সেভাবে উদযাপন করতে নিষেধ করেছেন। সম্প্রতি দলীয় এক বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাব করা হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ জনগণের নেত্রী মনে করেন, করোনার কারণে যেখানে দেশের মানুষ কষ্টে আছেন, সেখানে তিনি কীভাবে আনন্দ করবেন, অথচ তিনি জনগণের সুখ-দুঃখের সঙ্গটানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি। ভাই-বোনদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের এক কালরাতে হায়েনারা তার পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তারা দুই বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলে সপরিবারে ঢাকায় আসেন। পরে ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা কলেজ) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন। ১৯৭৩ সালে সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি।
১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে থাকাকালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও সজিব ওয়াজেদ জয় নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর একদল বিপদগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে গুলি করে হত্যা করে। ওই সময় দেশে ফেরার পরিবেশ না থাকায় শেখ হাসিনা ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। পরে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর একই বছর ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। মাঝে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। পরে ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে ফের ক্ষমতায় আসেন তিনি। সেই থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছেন শেখ হাসিনা।
এদিকে, কোভিড-১৯ এর মহামারির আতঙ্কের মধ্যেই বাংলাদেশের এই মহান নেত্রীর জন্মদিন হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে।
নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নিজ দলের নেতাকর্মী এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ কামনা এবং শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাবেন।
মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে সব মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
Latest news Khagrachhari - here are the news of nearby cities
যদি সফল হতে চাও!!!!
সবই পড়শোনা করে কিন্তু সবাই সফল হতে পারে না। পড়াশোনাই জীবনের সবকিছু নয়। পড়াশোনা না করেও সফল হওয়া যায়। তবে সফল তুমি হবেই যদি তুমি তোমার জীবনের
অভিধানে procrastination শব্দটি কে স্থান না দাও।
যখন টাইটানিক ডুবছিল তখন কাছাকাছি তিনটে জাহাজ ছিল।
একটির নাম ছিল "স্যাম্পসন"। মাত্র সাত মাইল দুরে ছিল সেই জাহাজ। ওরা দেখতে পেয়েছিল টাইটানিকের বিপদ সংকেত, কিন্তু বেআইনি সীল মাছ ধরছিল তারা। পাছে ধরা পড়ে যায় তাই তারা উল্টোদিকে জাহাজের মুখ ঘুরিয়ে বহুদুরে চলে যায়।
এই জাহাজটার কথা ভাবুন। দেখবেন আমাদের অনেকের সাথে মিল আছে এর। আমরা যাঁরা শুধু নিজেদের কথাই ভাবি। অন্যের জীবন কি এল কি গেল তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই আমাদের। তাঁরাই ছিলেন ঐ জাহাজটিতে।
দ্বিতীয় জাহাজটির নাম "ক্যালিফোর্নিয়ান"। মাত্র চোদ্দ মাইল দুরে ছিল টাইটানিকের থেকে সেই সময়। ঐ জাহাজের চারপাশে জমাট বরফ ছিল। ক্যাপ্টেন দেখেছিলেন টাইটানিকের বাঁচতে চাওয়ার আকুতি। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকুল ছিল না এবং ঘন অন্ধকার ছিল চারপাশ তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ঘুমোতে যাবেন। সকালে দেখবেন কিছু করা যায় কিনা। জাহাজটির অন্য সব ক্রিউএরা নিজেদের মনকে প্রবোধ দিয়েছিল এই বলে যে ব্যাপারটা এত গুরুতর নয়।
এই জাহাজটাও আমাদের অনেকের মনের কথা বলে। আমাদের মধ্যে যারা মনে করেন একটা ঘটনার পর, যে ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের কিছুই করার নেই। পরিস্থিতি অনুকুল হলে ঝাঁপিয়ে পড়বো।
শেষ জাহাজটির নাম ছিল "কারপাথিয়ান্স"।
এই জাহাজটি আসলে যাচ্ছিল উল্টোদিকে। ছিল প্রায় আটান্ন মাইল দুরে যখন ওরা রেডিওতে শুনতে পায় টাইটানিকের যাত্রীদের আর্ত চিৎকার। জাহাজের ক্যাপ্টেন হাঁটুমুড়ে বসে পড়েন ডেকের ওপর। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে তিনি সঠিক পথ দেখান তাঁদের। তারপর পুর্ণশক্তিতে বরফ ভেঙ্গে এগিয়ে চলেন টাইটানিকের দিকে। ঠিক এই জাহাজটির এই সিদ্ধান্তের জন্যেই টাইটানিকের সাতশো পাঁচজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান।
মনে রাখা ভাল এক হাজার কারণ থাকবে আপনার কাছে দায়িত্ব এড়াবার কিন্তু তাঁরাই মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেবেন যাঁরা অন্যের বিপদের সময় কিছু না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়েবেন । ইতিহাস হয়তো মনে রাখবেনা তাঁদের কিন্ত মানুষের মুখে মুখে গাওয়া "লোকগাথা"য় বন্দিত হবেন তাঁরাই যুগে যুগে :)
( সংগৃহীত)
Berkshire Hills Capital Group Expands Its Partnerships with Latin American, Canadian and European Family Offices
Berkshire Hills Capital Group (BHC) is a New York-based finance firm that helps businesses to solve complex financial challenges. It has earned an outstanding reputation for providing top-notch services in recent years. They have been involved in over 10-billion USD worth of transactions either as principals or advisers.
The Berkshire Hills Capital Group is now expanding its services internationally to focus more on cross-border corporate finance during these challenging times amid the pandemic. It has recently partnered with various Latin American, Canadian, and European family offices with an emphasis on low-cost debt at attractive and competitive rates as well as equity investments in the biopharmaceutical space.
Photo: Monterrey Mexico (Main Business Center)
The BHGC Group is also working to provide asset management advisory services for said family offices as well. Forming relationships with middle market companies looking for capital sources outside of the typical investment banks and Private Equity firms available to them is key. The company wants to offer corporate finance solutions tailored to the risk mitigation challenges posed by COVID-19.
Photo: Luxembourg at night
With past experience on projects with ticket sizes 10MM-250MM USD, the financial firm has the capability to work on both small and big projects. They also have previous experience in working with infrastructure and energy mandates. Berkshire Hills Capital Group has offices in New York with a satellite presence in Mexico, Kuala Lumpur, and Prague and plans to launch a London office in 2021. For inquires and more information relating to their programs and services please visit them at www.bhcrossborder.com.
Photo: Alberta, Canada
STOCKHOLM, – The cash envelope that accompanies each Nobel prize will be increased this year from nine to 10 million kronor ($1.1 million), the Nobel Foundation said Thursday.
“The work done in recent years to strengthen the Nobel Foundation’s financial standing has made it possible to increase the prize sum,” the foundation said in a statement.
This year’s prizes in the fields of medicine, physics, chemistry, literature, peace and economics will be announced during the week of October 5.
The prize sum was reduced from 10 to eight million Swedish kronor in 2011, when the foundation launched a programme to improve its finances.
Since the beginning of 2012, its investment capital has risen from just under three billion kronor to 4.6 billion, while the return has been close to nine percent per year thanks to a generally good market performance and good results from the foundation’s own asset management, it said.
Prize creator Alfred Nobel, an inventor and scholar who made a vast fortune from his invention of dynamite in 1866, decreed in his 1895 will that the bulk of his estate — about 31.5 million Swedish kronor, equivalent today to about 2.2 billion kronor ($222 million, 203 million euros) — be invested to fund the prizes.
The Nobel Foundation has previously announced that the traditional award ceremony and banquet in Stockholm have been cancelled this year because of the coronavirus pandemic, replaced by a televised event with laureates receiving their prizes in their home countries.
The Peace Prize ceremony, which takes place in Oslo, will go ahead albeit in a scaled-back version — with the traditional banquet cancelled.
At present people are being deprived of human rights in different countries of the world. It is the moral responsibility of all of us to be by their side.
বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘের
- অনলাইন নিউজ পোর্টাল.
- এইখানে সংঘটনের সকল কার্যক্রম খবর তুলে ধরা হবে।
- জয় গীতা
শেখ আবু তালেব: কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে ৪০ শতাংশের ওপরে। কারণ ছাড়াই বেড়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক চার্জ। আয়ের তুলনায় বেড়েছে অস্বাভাবিক। প্রচার, প্রচারণা ও করপোরেট ইভেন্টে স্পন্সর হওয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। এতে অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বছর শেষে লোকসানে পড়ে বিকাশ। অথচ আগের বছরের তুলনায় ২০১৯ সালে ব্যবসা বেড়েছে কোম্পানিটির।
জানা গেছে, দেশের সর্বপ্রথম মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিকাশ। প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে আর্থিক অনিয়ম। এটি করতে গিয়ে যে যার মতো খাত দেখিয়ে ব্যয় বাড়িয়ে অর্থ সরিয়েছেন। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনেও কয়েকটি খাতে উচ্চ ব্যয় দেখিয়েছে। তাতে স্বচ্ছতা রাখেনি। এ বিষয়ে বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্টীকরণে প্রশ্ন পাঠানো হলেও উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, সর্বশেষ হিসাব বছর ২০১৯ সালে বিকাশ লোকসান দেখিয়েছে ৬২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে মুনাফা করেছিল ১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে বিকাশের আয় হয়েছে দুই হাজার ৪১৬ কোটি আট লাখ টাকা, আগের বছরে যা ছিল দুই হাজার ১৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট পরিশোধ শেষে গত বছরে দুই হাজার ১২৮ কোটি ১৩ লাখ ও আগের বছরে এক হাজার ৯২৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। আয়ে প্রবৃদ্ধি হয় ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৯ সালে ব্যয় হয় এক হাজার ৬৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের বছরে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪০৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা মোট আয়ের ৭৮ শতাংশ। অথচ ২০১৮ সালে ব্যয় হয়েছিল মোট আয়ের ৭২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আয়ের চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে পাঁচ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে পরিচালন লোকসান হয় ১৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের বছরে যেখানে পরিচালন মুনাফা ছিল ১৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। বিকাশের বর্তমান গ্রাহক তিন কোটি ৮১ লাখ বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে দুই কোটি ২৩ লাখ সক্রিয় অ্যাকাউন্ট। এজেন্ট সংখ্যা হচ্ছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৯৪৪টি। এর মধ্যে ৯২ শতাংশই সচল বলে দাবি করেছে বিকাশ।
আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। গ্রাহক বেড়েছে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ২৩ শতাংশ, লেনদেন বেড়েছে ১৫ দশমিক সাত শতাংশ, সার্বিকভাবে এসবের প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
২০১৯ সালে নতুন করে যোগ হয় ১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সফটওয়্যার। এছাড়াও অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়েছে আগাম খাতে। কোম্পানির সাপ্লায়ার বা সরবরাহকারীদের আগাম দিয়েছে ১৪১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে যা ছিল ৩০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার আইটি যন্ত্রপাতি যোগ হয় বিকাশে। ২০১৮ এ খাতে যোগ হয় দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকার, যা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন খাতের বিশেষজ্ঞরা।
ব্যয়ের চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরিচালন ও প্রশাসনিক খরচ হয়েছে গত বছরে ৩৯৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, আগের বছরে যা ছিল ৩২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এ খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পায় ৭৩ কোটি টাকার ওপরে।
ব্যয়ের মধ্যে ২০১৯ সালে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেশনস সার্ভিস চার্জ বাবদ ব্যয় করেছে ১৮৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ১৩১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে বৃদ্ধি পায় ৩৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ব্যয়ের মধ্যে ২০১৯ সালে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় দেখানো হয় ১৯৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা, আগের বছরে যা ছিল ১৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এক বছরের মধ্যে বৃদ্ধি পায় ৪৯ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে কর্মচারীদের মধ্যে নিয়মিতদের বেতন-ভাতায় ব্যয় দেখানো হয় ১৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, আগের বছরে যা ছিল ১১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ নিয়মিত কর্মচারীদের পেছনেই সবচেয়ে বেশি ৪০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করেছে। শতাংশ হিসেবে ৪০-এর ওপরে বেতন-ভাতা বাড়ানো হয় বিকাশের পক্ষ থেকে।
এছাড়া চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ব্যয় দেখানো হয় ২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা, আগের বছরে যা ছিল ১৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ খাতে মাত্র বেড়েছে ছয় কোটি টাকা। অপরদিকে আরেক সর্বোচ্চ ব্যয় দেখানো হয় সম্পদের অবচয় খাতে। এ খাতেও ৩৬ কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়।
অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় বেড়েছে ছয় কোটি টাকার ওপরে। এ বিষয়ে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রায় প্রতিষ্ঠানটি লোকসান হয় ২২ লাখ ১৩ হাজার টাকা। আগের বছরে যা ছিল ৯ লাখ টাকা। এ খাতেও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। অফিস খরচবাবদ গত বছরে ব্যয় হয়েছে সাত কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা আগের বছরে ছিল এর অর্ধেক অর্থাৎ তিন কোটি ৮৬ লাখ টাকা। বিরোধ নিষ্পত্তিতে ব্যয় বাড়িয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা। অথচ পয়েন্ট অব সেল সামগ্রীতে ব্যয় বেড়েছে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা।
বিকল্প চ্যানেল বাবদ বেড়েছে ছয় কোটি টাকা। গত বছরে বিজ্ঞাপনে ব্যয় করে ৯২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ২৭ কোটি টাকা বাড়ায় বিজ্ঞাপনে। ২০১৯ সালে করপোরেট ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে ব্যয় করে ১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা; যা আগের বছরে ছিল ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ খাতেও পরিচিত প্রতিষ্ঠানের পেছনে ব্যয় করা হয়।
অস্বাভাবিক ব্যয়, সাপ্লায়ারদের অতিরিক্ত আগাম অর্থ দেয়ার কারণ, কমিউনিকেশন খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ও ব্যবসা বেশি হওয়ার পরও কেন লোকসান গুনতে হলো এ বিষয়ে লিখিত আকারে জানতে চাওয়া হয় বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে। এসব প্রশ্নের কোনো তথ্যভিত্তিক উত্তর দেয়া হয়নি। পরে আরও পাঁচটি প্রশ্ন পাঠানো হয়।
এর মধ্যে চতুর্থ প্রশ্ন ছিলÑ২০১৯ সালের আর্থিক প্রবিবেদনের নোট-৮ এ আদার দ্যান রিলেটেড পার্টিজ খাতে পাওনা (যা বিকাশ পাবে) দেখানো হয়েছে ১০২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ৭০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে এ খাতে পাওনার পরিমাণ এতটা বৃদ্ধির কারণ কী ও কাদের এ অর্থ দেয়া হয়েছে? আর কী বাবদ এবং কোন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের থেকে এ অর্থ পাওনা রয়েছে?
এর উত্তরে বিকাশ কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘রিসিভেবল ফ্রম আদার দ্যান রিলেটেড পার্টিজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ব্যাংক-ব্যালেন্স ও এফডিআরের ইন্টারেস্ট রিসিভেবল। ২০১৮ সালের তুলনায় হায়ার ইফেক্টিভ ইন্টারেস্ট রেট, গ্রাহক এবং অন্যান্য ডিপোজিট ও অপারেশনাল ব্যাংক ব্যালান্স বাড়ার কারণেই এই বৃদ্ধি হয়েছে।’
অন্যদিকে বিকাশের ২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অস্বচ্ছ বলে মনে করেন কি না? অস্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন দিয়ে বিকাশ থেকে কোনো গোষ্ঠী কি অর্থ লোপাট করেছে? এমন প্রশ্নটির উত্তর এড়িয়ে গিয়েছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ।