Local Chittagong news, Bangladesh
যদি সফল হতে চাও!!!!
সবই পড়শোনা করে কিন্তু সবাই সফল হতে পারে না। পড়াশোনাই জীবনের সবকিছু নয়। পড়াশোনা না করেও সফল হওয়া যায়। তবে সফল তুমি হবেই যদি তুমি তোমার জীবনের
অভিধানে procrastination শব্দটি কে স্থান না দাও।
যখন টাইটানিক ডুবছিল তখন কাছাকাছি তিনটে জাহাজ ছিল।
একটির নাম ছিল "স্যাম্পসন"। মাত্র সাত মাইল দুরে ছিল সেই জাহাজ। ওরা দেখতে পেয়েছিল টাইটানিকের বিপদ সংকেত, কিন্তু বেআইনি সীল মাছ ধরছিল তারা। পাছে ধরা পড়ে যায় তাই তারা উল্টোদিকে জাহাজের মুখ ঘুরিয়ে বহুদুরে চলে যায়।
এই জাহাজটার কথা ভাবুন। দেখবেন আমাদের অনেকের সাথে মিল আছে এর। আমরা যাঁরা শুধু নিজেদের কথাই ভাবি। অন্যের জীবন কি এল কি গেল তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই আমাদের। তাঁরাই ছিলেন ঐ জাহাজটিতে।
দ্বিতীয় জাহাজটির নাম "ক্যালিফোর্নিয়ান"। মাত্র চোদ্দ মাইল দুরে ছিল টাইটানিকের থেকে সেই সময়। ঐ জাহাজের চারপাশে জমাট বরফ ছিল। ক্যাপ্টেন দেখেছিলেন টাইটানিকের বাঁচতে চাওয়ার আকুতি। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকুল ছিল না এবং ঘন অন্ধকার ছিল চারপাশ তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ঘুমোতে যাবেন। সকালে দেখবেন কিছু করা যায় কিনা। জাহাজটির অন্য সব ক্রিউএরা নিজেদের মনকে প্রবোধ দিয়েছিল এই বলে যে ব্যাপারটা এত গুরুতর নয়।
এই জাহাজটাও আমাদের অনেকের মনের কথা বলে। আমাদের মধ্যে যারা মনে করেন একটা ঘটনার পর, যে ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের কিছুই করার নেই। পরিস্থিতি অনুকুল হলে ঝাঁপিয়ে পড়বো।
শেষ জাহাজটির নাম ছিল "কারপাথিয়ান্স"।
এই জাহাজটি আসলে যাচ্ছিল উল্টোদিকে। ছিল প্রায় আটান্ন মাইল দুরে যখন ওরা রেডিওতে শুনতে পায় টাইটানিকের যাত্রীদের আর্ত চিৎকার। জাহাজের ক্যাপ্টেন হাঁটুমুড়ে বসে পড়েন ডেকের ওপর। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে তিনি সঠিক পথ দেখান তাঁদের। তারপর পুর্ণশক্তিতে বরফ ভেঙ্গে এগিয়ে চলেন টাইটানিকের দিকে। ঠিক এই জাহাজটির এই সিদ্ধান্তের জন্যেই টাইটানিকের সাতশো পাঁচজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান।
মনে রাখা ভাল এক হাজার কারণ থাকবে আপনার কাছে দায়িত্ব এড়াবার কিন্তু তাঁরাই মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেবেন যাঁরা অন্যের বিপদের সময় কিছু না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়েবেন । ইতিহাস হয়তো মনে রাখবেনা তাঁদের কিন্ত মানুষের মুখে মুখে গাওয়া "লোকগাথা"য় বন্দিত হবেন তাঁরাই যুগে যুগে :)
( সংগৃহীত)
এই সময়ের জনপ্রিয় কবি অভিলাষ মাহমুদ । জন্ম ১৯৮৭ সালের, ৬- ই জানুয়ারি, চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব বাকলিয়া ১৮ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বলিরহাটে । তিনি সংসারের বড় ছেলে মা- বাবা, ৩ ভাই ও ১ বোন নিয়ে তাঁর সংসার। পিতা জনাব মোহাম্মদ ইদ্রিস এবং মাতা জনাবা ছেনুয়ারা বেগম ।
লেখালেখির জন্য এমনই এক অন্তঃপ্রাণ ব্যক্তি কবি ও গল্পকার অভিলাষ মাহমুদ। আপাদমস্তক সাহিত্যকে ধারণ করে আছেন। তার পোশাকেও তিনি সাহিত্যের ছাপ রেখেছেন। স্বগতোক্তি নয়, শ্রদ্ধেয়জন কবিগণ বলেন)। নীতি গত বিষয়ে কবি বলেন বাবার উপদেশ,”কারো সাথে মিথ্যা না বলা ও কাউকে না ঠকানো”-এই দু’টি উপদেশ ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি, ভালোর সাথে থাকতে চাই, ভালো কাজ করে যেতে
চাই।